‘টপ-ব্রা খোলো’, জিয়া খানকে বলেছিলেন সাজিদ! জিয়ার বোনকে বলেছিলেন, ‘ও সেক্স চায়’
‘বিগ বস’-এ বিতর্ক, এখন আর কেউ খুব একটা অবাক হয় না একথা শুনলে! তবে এবার বিগ বস ১৬-র ঘরে সাজিদ খানকে দেখে অনেকের চোখই কপালে উঠেছে। একাধিক নারী বলিউডের এই পরিচালকের উপরে মি টু-র অভিযোগ এনেছিলেন। একাধিক মেয়েকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ থাকা সাজিদ কী করে এল বিগ বসের ঘরে সেটাই আশ্চর্য করেছে আমজনতাকে।
ইতিমধ্যেই সাজিদ খানকে নিয়ে নিজের বিরক্তি জাহির করে বলিউড ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন মন্দনা করিমি। সালোনি চোপড়া, আহানা কুমাররাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার যে নাম শোনা যাচ্ছে তা হল জিয়া খানের বোন করিশ্মা। নিজের ডকুমেন্টারিতে তিনি বর্ণনা করেছএন যখন দিদি জিয়া খানের বাড়িতে তিনি আসতেন তখন কী খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তাঁকে হতে হয়েছিল।
জিয়া খানের বোন যা বলেছেন বিবিসি-র ডকুমেন্টারিতে
জিয়া যার আত্মহত্যা এখনও আদালতে বিচারাধীন, তাঁর বোন করিশ্মা ডকুমেন্টারিতে বলেছেন মুম্বইয়ের বিভীষিকায় ভরা পরিস্থিতির কথা। যার নাম রাখা হয়েছে, ‘Death In Bollywood’। গত বছর এই ডকুমেন্টারি মুক্তি পায়, এখানে সাজিদ খানকে নিয়েও কথা বলেছেন করিশ্মা। তিনি মাত্র ১৬ বছরের ছিলেন যখন সাজিদ তাঁর উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করেছিলেন।
ডকুমেন্টারিতে জিয়া খানের বোনকে বলতে শোনা যায়, ‘রিহার্সল চলছিল, ও (জিয়া) বসে স্ক্রিপ্ট পড়ছে, সাজিদ ওকে বলে টপ আর ব্রা খুলে ফেলতে। জিয়া বুঝতেই পারছিল না ওর কি করা উচিত। খুব কেঁদেছিল বাড়ি এসে। জিয়াকে সেই ছবিটা করতেই হয়েছিল, কারণ কনত্র্যাক্ট সাইন করা হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় ও আইনি ঝামেলাকে খুব ভয় পেত।’
‘আমার মনে আছে আমি তখন জিয়ার সঙ্গে সাজিদ খানের বাড়ি যেতাম সেই সময়। কত বয়স হবে, ১৬ বছরের মতো। কিচেন টেবিলে বসে আছি। একটা স্ট্র্যাপি টপ পরে গিয়েছিলাম ওইদিন। টেবিলের উপর ঝুঁকে বসেছিলাম। সাজিদ দূরে দাঁড়িয়ে আমায় দেখছে। হঠাৎ বলে ওঠে, ‘উফফ ওর একটু সেক্স দরকার’। শুনেই আমার দিদি ছুটে আসে। বলে ওঠে, এসব তুমি কী বলছ। ও এখনও বাচ্চা। সাজিদ বলে, দেখ না কীভাবে বসে আছে। জিয়া উত্তর দেয়, না আমার বোন অবুঝ। ও ছোট। ও জানেই না ও কী চায়। আমরা ততক্ষণাৎ ওখান থেকে বেরিয়ে আসি।’
এদিকে বিগ বসের ঘরে পৌঁছে মিটু নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি সাজিদ, বরং সলমনকে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর ‘ঔদ্ধত্য’-এর জেরেই নাকি তাঁর পতন ঘটেছে। হাউসফুল ৪ থেকে তাঁকে বার করে দেওয়া প্রসঙ্গে সলমনকে তিনি বলেন, ‘আগের রাত পর্যন্ত আমি ওই ছবিটা নিয়ে কাজ করছিলাম। সকালে আমি আর ওই প্রোজেক্টে নেই! ওই ছবির পিছনে আমার যে মেহনত সেটার কোনও ক্রেডিট আমাকে দেওয়া হয়নি’। এখন দেখার ইমেজ কতটা শুধরোতে পারেন সাজিদ।
For all the latest entertainment News Click Here