ঝুলনের অবসরের ম্যাচ দেখতে বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা CAB-র, জানুন কোথায় দেখবেন?
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ ঝুলন গোস্বামী খেলতে চলেছেন শনিবার। লর্ডসে। তাঁকে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই আবেগপ্রবণ বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেট মহল। মাস কয়েক আগে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মিতালি রাজ ৷ এ বার তাঁরই সতীর্থ ঝুলন গোস্বামীও অবসরের পথে ৷
ঝুলনের শেষ ম্যাচের সাক্ষী থাকতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। লর্ডসে ঝুলনের শেষ ম্যাচ দেখার জন্য সিএবি-র তরফে এলগিনের আইনক্স ফোরামে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটে থেকে এলগিনের আইনক্সের বড় পর্দায় লর্ডসে অনুষ্ঠিত বাংলার মেয়ের শেষ ম্যাচের সাক্ষী থাকতে পারবেন কলকাতার মানুষ।
নদিয়ার চাকদা থেকে শুরু হওয়া ঝুলনের লড়াই আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে ৷ তাঁর ঝুলিতেও রয়েছে ৩৫২টি উইকেট ৷ মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি ৷ ডায়না এডুলজির পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পদ্ম সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ৷ কালক্রমে তিনি হয়ে উঠেছেন চাকদা এক্সপ্রেস ৷
আরও পড়ুন: মিতালির প্রথম সিরিজে ২৩বছর আগে ইংল্যান্ডে শেষ জিতেছিল ভারত,ফের জিতল ঝুলনের অবসরে
এ ছাড়া ঝুলন ২০৩টি ওয়ানডে-তে ২৫৩টি উইকেট নিয়েছেন – যা বিশ্ব রেকর্ড। চলতি ওয়ানডে সিরিজেও তিনি খুবই কম রান দিয়েছেন। যদিও ঝুলনের অবসর নিয়ে বিসিসিআই-এর তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ঝুলনের প্রশংসা পঞ্চমুখ ছিলেন। এবং নির্দ্ধিতায় চাকদা এক্সপ্রেসের অবসরের ম্যাচের কথাও বলেন।
সৌরভ বলেছেন, ‘ঝুলন গোস্বামী একজন কিংবদন্তি। মহিলা ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তিনি বাংলার চাকদা থেকে উঠে এসেছেন। ওর সঙ্গে আমার খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মহিলাদের ক্রিকেট উন্নয়ন নিয়ে ঝুলন গোস্বামীর সঙ্গে আমার অনেক আলোচনা হয়েছে। আমি স্মৃতি মান্ধানা এবং হরমনপ্রীত কাউরের সঙ্গে কথা বলেছি।’
আরও পড়ুন: লর্ডস ম্যাচ স্পেশ্যাল হতে চলেছে- দুরন্ত শতরানের পরেও ঝুলন নিয়ে নস্ট্যালজিক হরমন
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি ঝুলনের জন্য খুব খুশি। ও ৪০ বছর বয়সে পা রেখেছে। অসাধারণ একটা ক্যারিয়ার ওর। প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই কোনও না কোনও একটা সময়ে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হয়। তবে ঝুলন ক্যারিয়ার কিন্তু সব দিক থেকে সমৃদ্ধ। ও সকলের কাছেই একজন রোল মডেল। লর্ডসেই ও শেষ ম্যাচ খেলবে। এটাই ওর স্বপ্ন ছিল।’
সৌরভ এমনটা বলতেও দ্বিধা করেননি, যদি তাঁর মেয়ে সানা গঙ্গোপাধ্যায় কোনও দিন ক্রিকেট খেলতে চাইতেন, তা হলে ঝুলনে আদর্শ হিসেবে সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন সৌরভ। কারণ দেশের এই অভিজ্ঞ পেসারের প্রভাব ইতিমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের উপর ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেও দেন, ‘যদি আমার মেয়ে ক্রিকেট খেলতে চাইত, তা হলে আমি ঝুলনকেই আদর্শ হিসেবে সামনে রাখতে বলতাম। কিন্তু, এটা আমার দুর্ভাগ্য যে ও ক্রিকেট খেলে না। আমি ঝুলনকে ওর ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাতে চাই।’ প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল নির্বাচনের আগে, জাতীয় নির্বাচক কমিটি ঝুলনের সঙ্গে কথা বলেছিল। এবং ভবিষ্যতের জন্য তাদের পরিকল্পনার কথা বলেছিল।
For all the latest Sports News Click Here