ঝগড়া শুরু হলেই রণবীরের ফিল্মি পুরস্কার ভাঙতেন তাঁর প্রাক্তন! কবুল ‘রকস্টার’এর
বক্স অফিস থেকে দর্শকহৃদয় দু’জায়গাতেই নিজের দুরন্ত অভিনয়ের সুবাদে নিজের নিপুণ ছাপ রেখে আস্তে সিদ্ধহস্ত রণবীর কাপুর। বেশিরভাগ সময়ে ছবি সমালোচকদের কলমেও উঠে আসে তাঁর অভিনয় প্রতিভার দিলখোলা তারিফ। ফিল্মি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও ছবিটা এক। ২০০৭ সালে সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ‘সাঁওয়ারিয়া’ ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন রণবীরের। সেই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও নিজের অভিনয়ের সুবাদে নবাগত অভিনেতার ফিল্মফেয়ারটি নিজের ঝুলিতে পুরে নিয়েছিলেন কাপুর-নন্দন। সেই শুরু। এরপর যত দিন গড়িয়েছে তত ভারি হয়েছে তাঁর পুরস্কারের ঝুলি। তাঁর প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনিই যে সবথেকে বেশি ‘সেরা অভিনেতা’র পুরস্কার জিতেছে সেকথা হলফ করেই বলা যায়। তবে জানেন কি রণবীরের একসময়েরর এক প্রেমিকা ঝগড়া-ঝামেলা শুরু হলেই রাগের চোটে রণবীরের সেইসব ট্রফি ভেঙে ফেলতে শুরু করত! কোনও বলিউডি গুঞ্জন নয়, নিজের মুখেই এই কথা ফাঁস করেছেন ‘রকস্টার’।
এইমুহূর্তে অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন রণবীর। তার আগে দীপিকা পাড়ুকোন এবং ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে দীর্ঘ বছর সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রণবীর জানিয়েছিলেন তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সুসময়ের কথা, যখন তিনি সব ফিল্মি পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে টান ‘সেরা অভিনেতা’র সম্মান নিয়ে ঘরে ফিরতেন। আরও জানিয়েছিলেন ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রকস্টার’ ছবিতে তাঁর অভিনয়ের সুবাদে ‘ফিল্মফেয়ার’ এর মতো এত সম্মানীয় পুরস্কার মঞ্চে ‘ক্রিটিকস’ এবং ‘পপুলার’ অভিনেতার দু’টি বিভাগেই সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সেকথা শোনামাত্র ফিল্মফেয়ার পত্রিকার সম্পাদক মজাদার ভঙ্গিতে রণবীরের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘তোমার প্রাক্তন প্রেমিকারা তো প্রায় হরবখত আমাকে মজা করে বলে যে রণবীরের পুরস্কারের সংখ্যাটা দ্যাখো আর পাশাপাশি আমাদের অবস্থাটাও দ্যাখো।’ তাঁর কথা শেষ হতেই মুচকি হেসে রণবীর নিজের এক প্রাক্তন প্রেমিকা সম্পর্কে সেই তথ্যটি জানান। করোও নাম না করে ‘তামাশা’র নায়ক বলে ওঠেন, ‘আমার এক প্রেমিকা ছিল। আমার সঙ্গে ঝুটঝামেলা হলেই আমার যেটা পুরস্কারগুলো ছুড়ে ছুড়ে মারত। ভেঙে ফেলত। আর আমি শুধু বলতাম সব ঠিক আছে কিন্তু আমার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারগুলো ছোঁবে না একদম!’
For all the latest entertainment News Click Here