জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় বড় ধাক্কা খেল CBI, ফরেনসিক তদন্তের অনুমতি মিলল না!

বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদলত খারিজ করে দিল জিয়া খানের আত্মহত্যার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থার আবেদন। এই আত্মহত্যা মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন, এই মর্মে সিবিআইয়ের তরফে আদালতের কাছে মামলার সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি প্রার্থনা করা হয়েছিল।  

নিজের জীবন শেষ করে দিতে যে ওড়ানা বা দুপাট্টা জিয়া ব্যাবহার করেছিলেন সেটির ফরেনসিক পরীক্ষা এবং মৃত্যুর ঠিক আগে ব্ল্যাকবেরি ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জিয়া ও তাঁর প্রেমিক তথা মামলার মূল অভিযুক্ত সূরজ পাঞ্চলির মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল সেই ডেটা উদ্ধার করবার আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু অনুমতি মিলল না।




২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জিয়ার দুপাট্টা চণ্ডীগড়ের সেন্ট্রাস ফরেনসিক ল্যাব্রেটারিতে, এবং বাজেয়াপ্ত ব্ল্যাকবেরি ফোনগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই-তে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই, যাতে বিবিএম মেসেজগুলি উদ্ধার করা যায়। জিয়ার মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে প্রয়াত নায়িকা এবং তাঁর প্রেমিক সূরজ পাঞ্চলির মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেটা এই মামলার সবচেয়ে জরুরি বিষয় বলেই মনে করছে সিবিআই, পাশাপাশি সূরজের ফোনের জিপিএস লোকেশনও ট্র্যাক করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এর জন্য সেই দুটি সেলফোন (জিয়া ও সূরজের) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থার ফরেনসিক ইউনিটে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে, এর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। 

এই আবেদনের বিরোধিতা করে সূরজের আইনজীবী জানান, জিয়ার মা রাবিয়া খানের একই ধরণের আবেদন ২০১৭ সালে খারিজ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। তিনি আরও বলেন, সেই সময় সিবিআই জানিয়েছিল ওই বিবিএম মেসেজগুলির সঙ্গে এই মামলার সরাসরি কোনও যোগ নেই, এখন তাঁরা অবস্থা পালটে অন্য কথা বলছে এবং তাঁদের এই আবেদন হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা। 

জিয়া খানের মা, রাবিয়া খানের কৌঁসুলি সাইরুচিতা চৌধুরী সওয়াল করেন, জুহু পুলিশের তদন্তে অনেক খামতি ছিল এবং এই মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে  আটটি প্রশ্নের জবাব খুঁজে বার করা প্রয়োজন, যা আজও অধরা। জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিনেতা সূরজ পাঞ্চলির বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালের ৩রা জুন জুহুতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই জিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সাত দিন পর গ্রেফতার হন জিয়ার প্রেমিক সূরজ পাঞ্চলি। সূরজের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হওয়ার পর ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে এই মামলার শুনানি পর্ব চলছে। 

যদিও রাবিয়া খানের দাবি, জিয়া আত্মহত্যা করেননি তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি নাকোচ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট, সিবিআইও সাফ জানিয়েছে এটি আত্মহত্যার মামলা। 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.