‘জিজীবিষা’য় ভরপুর ঐন্দ্রিলার জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা প্রেমিক সব্যসাচীর
‘জিজীবিষা’ বাংলা অভিধানের বেশ কঠিন একটা শব্দ। এই শব্দের অর্থ হল ‘বেঁচে থাকার ইচ্ছা’। আক্ষরিকভাবে এই শব্দের অর্থটা প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাকে দেখেই শিখেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী মানে সবার পরম শ্রদ্ধার বামদেব। এখন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু নয়, সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার প্রেম কাহিনি সত্যিই একটা আদর্শ আমাদের সবার জীবনে। এই ভালোবাসা মৃত্যুকে জয় করতে জানে। এই প্রেমকাহিনি রূপকথার চেয়ে কম নয়!
৫ই ফেব্রুয়ারি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্মদিন। গত একটা বছর লম্বা একটা ঝড় বয়ে গিয়েছে ঐন্দ্রিলার জীবনে, তবুও এক অদম্য জেদ আর জীবনীশক্তিতে বলিয়ান হয়ে ফিরে আসা তাঁর। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই ঐন্দ্রিলা জানতে পেরেছিলেন ফের তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণরোগ ক্যানসার। কিন্তু ‘বেঁচে থাকবার ইচ্ছা’ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন সাজাচ্ছেন ক্যানসার জয়ী ঐন্দ্রিলা। আর এই বছরের জন্মদিনটা তাই আরেকটু বেশি খান ‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেত্রীর জন্য।
হলুদ রঙের সালোয়ারে সেজে ঐন্দ্রিলা, সামনে সাজানো দুটো কেক। হাসি মুখে পোজ দিচ্ছেন অভিনেত্রী। এমনই এক ছবি পোস্ট করে প্রেমিক সব্যসাচী নিজের কলমের জাদুতে আবার মন জিতলেন। সব্যসাচী লিখেছেন, কেমনভাবে নিজের ভুলো স্বভাবের জন্য প্রতিবার ঐন্দ্রিলার জন্মদিন ভুলে যান তিনি, অথচ এক সপ্তাহ আগে থেকে নিজেই ঐন্দ্রিলা মনে করাতে থাকেন তাঁর জন্মদিন আসছে।
সব্যসাচী লিখেছেন, ‘উনি সন্ধ্যে থেকে সেজেগুজে বসে থাকেন মাঝরাতে জন্মদিন পালন করবেন বলে। বারোটা বাজার আগে নিজেই কেক নিয়ে বসে সবাইকে ডাকাডাকি করেন। আমি ভুলে যাই বলে এক সপ্তাহ আগে থেকে মনে করাতে থাকেন যে ওনার জন্মদিন আসছে।
ছোটবেলায় বাংলা ব্যাকরণে ‘জিজীবিষা’ শব্দটা পড়েছিলাম। তবে তার প্রকৃত অর্থ আমি জেনেছি ওনাকে দেখে। শুভ জন্মদিন।’
গত ডিসেম্বরেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমেই সব্যসাচী জানিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার ক্যানসার জয়ের কাহিনি। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বার ধরা পড়ে ক্যানসার ঐন্দ্রিলার শরীরে। তারপর হয় জটিল অস্ত্রোপচার। কেমোথেরাপি। আপাতত চিকিৎসার সময়সীমা শেষ। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন ঐন্দ্রিলাও। ক্যানসার জয়ী ঐন্দ্রিলার এক মনেপ্রাণে ইচ্ছে অভিনয়ের জগতে ফেরা। আর সেই লড়াইতেও সারাক্ষণ পাশে রয়েছেন সব্যসাচী।
For all the latest entertainment News Click Here