জল্পনার অবসান, ফ্রান্স ফুটবল টিমের হটসিটে থাকছেন দেশঁই, ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি
টানা দ্বিতীয় বার ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতাতে না পারার আফসোস রয়েছে ষোল আনা। তবে একজন কোচের কাছে পরপর দু’বার দলকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়াটাও তো বড় কৃতিত্বের বিষয়। দিদিয়ের দেশঁর কোচিংয়ে ফ্রান্স একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ২০২২ সালে আর্জেন্তিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কিলিয়ান এমবাপেদের।
তবে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্তিনার কাছে হারের পর দিদিয়ের দেশঁর ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এমন কী নতুন কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদানের নাম প্রবল ভাবে শোনা গিয়েছিল। আসলে বিশ্বকাপের পরেই ফ্রান্সের সঙ্গে দেশঁর চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে জল্পনার মাত্রাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তবে জিদান নয়, সেই দেশঁতেই নিজেদের আস্থা রাখল ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: অলৌকিক কিছু না ঘটলে সেরা ছয়ে থাকা যাবে না- ওড়িশার কাছে হেরে মেনে নিলেন EB কোচ
ফ্রান্সের কোচ হিসেবে দেশঁর সাফল্য কিন্তু ঈর্ষণীয়। তবে আর্জেন্তিনার কাছে হারটা যেহেতু ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীরা হজম করতে পারেননি, তাই মনে করা হয়েছিল, দেশঁর ভবিষ্যতও বোধহয় অথৈ জলে। সরে যেতে হতে পারে তাঁকে। পুনরায় তাঁকে এমবাপেদের দায়িত্ব নাও দেওয়া হতে পারে। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে একেবারে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স দলের কোচ হিসেবে দেশঁকেই রেখে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: জঘন্য পারফরম্যান্স, এগিয়ে গিয়েও ওড়িশার কাছে হারল লাল-হলুদ
শনিবারই নতুন চুক্তিতে সই করেন ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক তথা কোচ। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশেনের তরফে দেশঁর নতুন চুক্তির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে তারা জানিয়েছে, ‘ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন এবং ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লে গ্রান্ট খুবই খুশির সঙ্গে ঘোষণা করছেন যে, দিদিয়ের দেশঁ ২০২৬ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচের পদে থাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।’
চুক্তি বৃদ্ধির পর দেশঁ বলেছেন, ‘আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য সভাপতিকে ধন্যবাদ। মার্চে নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ আছে। ম্যাচ দু’টি সামনে রেখেই আমরা প্রস্তুতি নেব।’
২০১২ সালে ফ্রান্সের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দেশঁ। ২০১৮ সালে দেশঁ-র কোচিংয়ে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। ২০২১ সালে আবার নেশনস লিগ জিতেছিল। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও পৌঁছেছিল ফ্রান্স। আর ২০২২ সালে বিশ্বকাপে রানার্স হয় ফ্রান্স
এমন সাফল্যের রেকর্ড থাকলে, তাঁকে কেন ছেড়ে তাই ফ্রান্স? বর্তমানে ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরাসিরা। প্রসঙ্গত, দেশঁর পাশাপাশি তাঁর সহকারী কোচ গাই স্টিফেন, গোলকিপার কোচ ফ্রাঙ্ক রাবিও, এবং ট্রেনার সাইরিলও ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন।
For all the latest Sports News Click Here