জন্মদিনে স্পেশাল গিফট ভক্তদের! অন্ধ্রপ্রদেশে তৈরি হল ধোনির ৭৭ ফুটের কাট-আউট
মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটা উচ্চারিত হতেই সমর্থকদের শিরায় শিরায় শিহরণ খেলে ওঠে। জেগে ওঠে রেলের খড়গপুর ডিভিশনে চাকরিরত এক যুবকের ভারতীয় দলে খেলার স্বপ্ন। দীর্ঘ লড়াই করে জাতীয় দলের সুযোগ। পরপর দুটি ম্যাচে ব্যর্থ। তারপরে বাকিটা সবাই জানে। রেলের টিটিই-র চাকরি করা যুবক আজ ৪২। দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে প্রিয় মাহির জন্মদিন। তাদের মধ্যে অনেকেই যারা ধোনির সঙ্গে ভারতীয় দল এবং আইপিএল দল চেন্নাইতে খেলেছে সেই সময়কার স্মৃতি তুলে ধরবেন। সাধারণ ভক্তরা পরিসংখ্যান তুলে ধরবে। অনেকে আবার আরও একধাপ বেশি এগিয়ে গিয়েছে। হায়দরাবাদ এবং অন্ধ্র প্রদেশের নন্দিগামাতে ধোনির বিশাল কাটআউট তৈরি করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তাঁকে।
ভারতীয় কিংবদন্তি এই অধিনায়ক নিজের পরিসংখ্যান নিয়ে ক্রিকেট মহলে বহুবার প্রশংসিত হয়েছেন। তবে ভক্তরা তাকে সব সময় সিংহাসনে তুলে রাখেন। কোনও ম্যাচে ভালো হলে তো কথা নেই খারাপ হলেও তারা মাহিকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে দেন না। এই সমর্থকরা তাঁকে অভিনব পদ্ধতিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। হায়দরাবাদে ৫২ ফুট লম্বা ও নন্দীগামার একটি ৭৭ ফুট লম্বা কাট আউট লাগিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তারা। নন্দীগামার কাট আউটটি ধোনির সিএসকে জার্সির একটি ছবি। সেখানকার ভক্তদের দুধও ঢালতে দেখা গিয়েছে।
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক ও একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে ধরা হয়। শুধু আলোচনা হয় বলে নয়। পরিসংখ্যানও তাঁর দিকেই ইশারা করে। একদিনের ক্রিকেট বিশ্বে একমাত্র অধিকার যিনি আইসিসির দ্বারা আয়োজিত তিনটি সাদা বলের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০০৭ সালে প্রথমবার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে অনঅভিজ্ঞ দলের সঙ্গে প্রথমবার আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিনিয়ে আনেন ধোনি। এরপর ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপ। এরপর ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। এছাড়াও ধোনির অধিনায়কত্বে ২০০৯ সালে ভারতীয় দল প্রথমবার টেস্ট ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর সময়কলে ভারতীয় দল যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই সোনা ফলিয়েছে।
ধোনিকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফিনিশর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওয়ানডেতে তিনি ৩৫০ ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০,৭৭৩ রান করেছেন। রয়েছে ১০টি সেঞ্চুরি এবং ৭৩টি হাফ সেঞ্চুরি। ধোনি ভারতের হয়ে ৯৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। দুটি হাফ সেঞ্চুরি সহ ১২৬.১৩ স্ট্রাইক রেটে ১৬১৭ রান করেছেন । টেস্ট ক্রিকেটেও তাঁর রেকর্ড নেহাত ফেলনা নয়। ২০১৪ সালে এই ফরম্যাট থেকে আকস্মিকভাবে অবসর নেওয়ার আগে তিনি ৯০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন। ছয়টি সেঞ্চুরি এবং ৩৩টি অর্ধশতরানের সাহায্যে ৪৮৭৬ রান করেন। গড় ৩৮.০৯। উইকেটের পিছনেও তিনি সমানভাবে স্বাবলম্বী। মার্ক বাউচার, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ইয়ান হিলি এবং রডনি মার্শের পরই তাঁর ২৯৪টি শিকার ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম-সর্বোচ্চ।
শুধুমাত্র জাতীয় দল নয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগেও ধোনির পরিসংখ্যান অবাক করে দেওয়ার মতো। আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল চেন্নাই সুপার কিংস। তাঁর অধিনায়ক ধোনি। আইপিএলের উদ্বোধনী মরশুম থেকে তিনি সিএসকের অধিনায়ক। দলকে রেকর্ড পাঁচটি আইপিএল শিরোপা জিতিয়েছেন।
For all the latest Sports News Click Here