‘জঘন্য’ অভিনয় করেও কীভাবে পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার?এতদিনে মুখ খুললেন ফারদিন
চার কিংবা পাঁচ নয়, পাক্কা এগারো বছর পর বড়পর্দায় কামব্যাক করছেন ফারদিন খান। শেষবার এই বলি-অভিনেতাকে দেখা গেছিল ‘দুলহা মিল গয়া’ ছবিতে। রিতেশ দেশমুখের সঙ্গে জুটি বেঁধে সঞ্জয় গুপ্তার পরিচালনায় ‘বিস্ফোট’ ছবির মাধ্যমে ফের একবার দর্শকদের সামনে আসবেন ফারদিন। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে ফারদিন জানালেন, ‘প্রেম আগন’ ছবির সুবাদে বলিউডে ডেবিউ করার পরেই শুরু হয়েছিল তাঁর কঠিন সময়। যদিও ১৯৯৮ সালে বক্স অফিসে মুক্তি পাওয়া এই ছবির জন্য ফিল্মফেয়ারের সেরা নবাগত অভিনেতার পুরস্কারটি নিজের ঝুলিতে ভরেছিলেন ফারদিন। তবে এবারে বলি-অভিনেতা খোলাখুলি জানিয়েছেন যে তাঁর মনে হয় না ওই পুরস্কারটি পাওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি ছিলেন তিনি!
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নিজের বক্তব্যের পিছনে তাঁর সাফাইও দিয়েছেন ফারদিন, ‘তখনকার পরিবেশ আলাদা ছিল। অলিখিত কিছু নিয়ম চালু ছিল তাই হয়ত ওই পুরস্কারটি পেয়েছিলাম। হিসেবে মতো আমার পাওয়াই উচিত ছিল না, কারণ ডেবিউ নায়ক হিসেবে খুব কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছিলাম আমার অভিনয়ের জন্য। ছবিটিও একেবারেই চলেনি। আজ যখন নিজেকে ওই ছবিতে দেখি, আতঁকে উঠি। এতটাই জঘন্য অভিনয় করেছিলাম। যে প্রযোজকরা ছবির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আমার সেই পারফর্মেন্স দেখে তাঁরা সেসব ফিরিয়ে নিলেন। স্বভাবতই যে আগাম টাকা তাঁরা দিয়েছিলেন, সেসবও ফেরত দিতে হয়েছিল। অথচ ততদিনে সেসব থেকে বেশ খানিকটা টাকাও খরচ করে ফেলেছিলাম আমি। ফলে চাপ বেড়েছিল বৈ কমেনি। এরপর গোটা এক বছর হাতে কোনও কাজ ছিল না। ঘরে বসে ছিলাম।’ যদিও সেই দুঃসময়ে বাবা ফিরোজ খানকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি।
সামান্য থেমে ফারদিনের সংযোজন, ‘এই কঠিন সময়ে বাবা পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন আগামী ১ বছর তোমার সব ভরণপোষণের সব দায়িত্ব আমার। কিন্তু এরপর তোমাকে নিজেকেই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। মাসে মাসে ৫০,০০০ টাকা হাত খরচ হিসেবে পেতাম ওঁর থেকে। ইতিমধ্যে একটি নতুন গাড়ি কিনে বসেছিলাম, যার ফলে মাসে মাসে ২২,০০০ টাকা কিস্তি হিসেবে দিতে হতো আমাকে। শেষে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, ওই গাড়িতে যে গ্যাস ভরব সেই টাকাও পড়ে থাকত না পকেটে।’
যদিও এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করেছিলেন ফারদিন। হিন্দি উচ্চারণ স্পষ্ট করা থেকে শুরু করে অভিনয় নিয়ে চর্চা, এরকম আরও নানান টুকিটাকি ব্যাপার। এমন সময় এল রাম গোপাল বর্মার ‘জঙ্গল’ ছবির প্রস্তাব। বিপরীতে উর্মিলা মাতন্ডকর। সেই ছবির পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ফারদিনকে। বলি-অভিনেতার কথায়, ‘তখন কেউ আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। সেই দিন আমি ভুলিনি। তাই রাম গোপাল বর্মা ও উর্মিলা এই দু’জনের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।’
For all the latest entertainment News Click Here