ছেলে বনাম মেয়ের লড়াই, ‘মনোহরা’য় ঝগড়া! কী কী দেখা যাবে ‘মিঠাই’-এর নতুন পর্বে
তিল থেকে তাল হতে সময় লাগেনি খুব বেশি। ঝগড়াটা শুরু হয় নন্দা আর রাজীবের মধ্যে। কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়তে কত ক্ষণ!
নন্দার হয়ে কথা বলে মিঠাই, শ্রীতমা। ব্যস! দল ভারী হয় রাজীবেরও। তার হয়ে গলা তোলে রাতুল আর সিদ্ধার্থ। ব্যস! দাম্পত্য কলহ হয়ে গেল ছেলে বনাম মেয়ের লড়াই। সিদ্ধার্থদের যুক্তি, মেয়েরা সন্দেহপ্রবণ, বিশ্বাস করতে পারে না। মিঠাইরা বলে, ছেলেরাও কিছু কম নয়। যুক্তির স্বপক্ষে তোলা হয় গোগোল, ইন্দ্রদের প্রসঙ্গ।
এখানেই শেষ নয়। ঝগড়া এতই বাড়ে যে, বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় নন্দা আর শ্রীতমা। যেমন কথা, তেমন কাজ। ব্যাগপত্র গুছিয়ে মিঠাইয়ের সঙ্গে সটান ‘মনোহরা’য়। জানিয়ে দেয়, কয়েকটা দিন স্বামীদের থেকে দূরে থাকতেই এই পন্থা। বাড়িতে এসে নিজেদের মতো করে আনন্দ করতে চায় তারা।
নাতনিদের সমর্থনে সুষমা। আসল সমস্যা যে কোথায়, তা নাকি স্বামী সিদ্ধেশ্বরের মতিগতি দেখেই বুঝছে সে। দাদাইও কি আর চুপ করে থাকার পাত্র? নাতি-নাতজামাইদের বাড়ি ফিরতেই যত ক্ষণ! বৌকে জবাব দিতে ছেলেদের দলে সামিল বাড়ির কর্তা।
বিবাদ যখন এক্কেবারে তুঙ্গে, তখনই মোক্ষম চাল সুষমার। ঘোষণা করে, ‘মনোহরা’র একটি ঘরে আলাদা থাকবে মেয়েরা। বাড়ির কোনও পুরুষের সঙ্গেই থাকবে না যোগাযোগ। করা হবে না কোনও রকম সাহায্য।
এর পর মহিলামহলে চলছিল ভোজে আয়োজন। অন্য দিকে, হাপিত্যেশ করে বসে সিদ্ধার্থরা। মিঠাইয়ের খানিক মন গলেছিল ঠিকই। কিন্তু সামলে নেয় শ্রীতমা আর সুষমা। নিয়মের অন্যথা করা যাবে না কোনও ভাবেই।
কিন্তু ছেলেরা খাবে কি? তাদের উনুনে তো হাঁড়ি চড়েনি! অগত্যা গিন্নিকে শুনিয়ে বেশি তেল-ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার আনানোর আদেশ জারি করে সিদ্ধেশ্বর। কিন্তু এর পর? শেষমেশ এই ‘যুদ্ধ’ থামবে কোথায়? এখন সেটাই দেখার।
For all the latest entertainment News Click Here