ছেলেকে লঞ্চ করে দেউলিয়া হয়েছেন! প্রযোজনায় ভয়, অভিনয়েই মন দিচ্ছেন সানি
এই মুহূর্তো গোটা দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সানি দেওল। বুড়ো হাড়ে যে ভেলকি দেখিয়েছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র, তা হজম হচ্ছে না অনেকের। বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গুঁড়িয়ে ৫০০ কোটির ক্লাবের দিকে এগোচ্ছে গদর ২। গত ১১ই অগস্ট মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। মুক্তির ১৭ দিন পর দেশের বক্স অফিসে আয়ের নিরিখে তিন নম্বর হিন্দি ছবি এটি। আগে রয়েছে কেবল ‘পাঠান’ ও ‘বাহুবলী ২’ (হিন্দি ভার্সন)। এতদিন সানির একটিও ছবি ১০০ কোটির মুখ দেখেনি, সেই জায়গায় এক লাফে ৫০০ কোটির দোরগোড়ায়, স্বভাবতই স্বপ্নের জগতে বাস করছেন সানি দেওল।
চার দশক দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, পরিচালকের ভূমিকাতেও দেখা মিলেছে সানির। কিন্তু সাফল্য আসেনি সেভাবে। সানির কথায়, প্রযোজনা করতে গেলেই দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। তাই এবার আর রিস্ক নিত চান না অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানি জানান, ‘দুনিয়াটা এখন খুব গোলমেলে। বহুবছর আগে আমি বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম। ডিস্ট্রিবিউশন হত স্বাভাবিক নিয়মে, লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা হত, যোগাযোগ ছিল। কিন্তু এখন সবটাই কর্পোরেট কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। একার পক্ষে তাদের সঙ্গে লড়াই করাটা বড্ড কঠিন। পিআর (নিজের প্রচার) করাটা শিখতে হয়, দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। এখন কেউ পছন্দমতো হল বা শো-এর সংখ্যা দিতে চায় না। আমার বেশ কঠিন সময় কেটেছে অতীতে। হয়ত তুমি কিছু বিশেষ ছবি তৈরি করতে চাও, কিন্তু তোমার সামর্থ্য নেই।’
এরপর সানি যোগ করেন আপতত অভিনেতা হিসাবেই সন্তুষ্ট ছিল। গদর ২ তারকার কথায়, ‘আমি প্রযোজক, পরিচালকের ভূমিকা পালন করেছি, কিন্তু একাধিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। একটা মানুষ একটা কাজই করতে পারে। তাই আপতত সব ভুলে শুধু অভিনয়ে মন দিতে চাই, অভিনেতা হিসাবে যতগুলো সম্ভব ছবি করতে চাই’।
১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় কেরিয়ার শুরু সানির। এই ছবির সঙ্গেই ‘বিজেতা ফিল্মস’ প্রযোজনা সংস্থা স্থাপন করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ১৯৯০ সালে সানির ‘ঘায়েল’ ছবিও প্রযোজনা করে ‘বিজেতা ফিল্মস’। ধর্মেন্দ্র ও প্রকাশ কৌরের মেয়ের নামে তৈরি এই সংস্থা। ধর্মেন্দ্রর ছোট ছেলে ববি দেওলের ডেবিউ ছবি ‘বরসাত’ও প্রযোজনা করেছিল এই সংস্থা।
১৯৯৯ সালে উত্তরাধিকার সূত্রে এই প্রযোজনা সংস্থার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন সানি। পরিচালক সানির প্রথম ছবি ‘দিললগি’-র প্রযোজকও ছিল ‘বিজেতা ফিল্মস’। এরপর একে একে ‘ইন্ডিয়ান’, ‘২৩শে মার্চঃ শহীদ’, ‘সোচা না থা’ (তুতো ভাই অভয়ের ডেবিউ ছবি), ‘আপনে’, ‘ঘায়েল-ওয়ান্স এগেন’-এর মতো ছবি তৈরি করেছে সানির প্রোডাকশন কোম্পানি। এই প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরেই অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন সানির বড় ছেলে করণ দেওল। ছবির নাম পল পল দিল কে পাস। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে না পেরেই কি ব্যাঙ্কের কাছে ৫৬ কোটির ঋণ নেন সানি? সানি ভিলা মর্টগেজ রাখেন অভিনেতা? তা অবশ্য জানাননি পর্দার তারা সিং।
For all the latest entertainment News Click Here