‘ছিঃ! বিবাহিত হয়ে এইসব কাজ’, লাগাতার ট্রোলিং, বিধ্বস্ত কিয়ারাকে আগলান সিদ্ধার্থ
সোশ্য়াল মিডিয়া ট্রোলিং-এর হাত থেকে বাঁচতে পারেন না কোনও তারকাই। পান থেকে চুল খসলেই নেটমাধ্যমে ধেয়ে আসে বিদ্রুপ। ট্রোলারদের বিশেষ পাত্তা দেন না কিয়ারা। কিন্তু সাম্প্রতিক এক ঘটনা এতটাই নাড়িয়ে দিয়েছে কিয়ারাকে, যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সিদ্ধার্থ ঘরণী।
সদ্যই বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে কিয়ারা-কার্তিক অভিনীত ‘সত্যপ্রেম কি কথা’। ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ৃএর এই ছবিতে ফের একবার কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী। এই মিউজিক্যাল লাভ স্টোরির বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সত্যপ্রেম এবং কথার রূপকথার মতো সাজানো বিয়ের আসর। গত মাসে সেই বিয়ের ঝলক সামনে আসতেই ঘটে বিপত্তি। আসলে মণ্ডপে বসে সিদ্ধার্থ-কিয়ারার একটি পোজ নকল করেছেন কার্তিক-কিয়ারা। কার্তিকের বসবার ধরণ, কিয়ারার তাকানোর ধরণ, মুখের হাসি সবই হুবহু একরকম! যা দেখে চটে যায় নেটিজেনরা। বিয়ে নিয়ে ছেলেখেলা করা মোটেই উচিত হয়নি কিয়ারার এমন উপদেশ দিতে থাকেন নীতি পুলিশরা। লাগাতার কটাক্ষের জেরে তড়িঘড়ি সেই ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম ফিড থেকে মুছে দেন কিয়ারা। তবে কার্তিকের প্রোফাইলে এখনও জ্বলজ্বলে সেই ছবি।
এই ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি ফিল্ম কম্পানিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন কিয়ারা। তিনি জানান, ‘এই ঘটনা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। একটা সময় মনে হয়েছিল আর পারছি না….’। এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে বেগ পেতে হয় অভিনেত্রীকে। বিবাহিত হওয়ার জেরে অনস্ক্রিনে তোমার আচরণ বদলাতে হবে, এই ধারণা একদম নতুন ছিল কিয়ারার কাছে। শুরুতে গায়ে না মাখলেও ধীরে ধীরে এর যন্ত্রণা অনুভব করেছেন অভিনেত্রী। কিয়ারা বলেন, ‘আমাকে আর আমার গোটা টিমকে এই ঘটনা প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেছিল। সিদ্ধার্থ নিজেই ছবিটা দেখেছিল, কিন্তু ওর কাছে এটা খুব সাধারণ ঘটনা’।
কিয়ারার মানসিক পরিস্থিতি দেখে তাঁকে সাহস জোগান খোদ সিদ্ধার্থ। অভিনেতা রীতিমতো পেপটক দিয়ে চাঙ্গা করেন বউকে। অভিনেতা বলেন, ‘এই ধরণের নেগেটিভ মানুষজন, ট্রোলাররা তো সবসময়ই থাকবে। এদের তুমি চেনো না, জানো না– আর তাদের কথা শুনে ঘরে বসে কান্নাকাটি করছো? তোমার সমস্য়াটা কোথায়? কেন এদের কথা ভাবছো, হয়ত এরা সেইসব মানুষ যারা তোমার খুশিতে খুশি নয়, তোমার বিয়ে নিয়ে খুশি নয়। এক্ষুণি এদের কথা ভাবা বন্ধ করে কাজে মন দাও’।
বরের মুখে এই কথা শুনেই কিয়ারা উপলব্ধি করেন গোটা বিষয়টা সিদ্ধার্থ যদি এমন পরিণতমনস্কের মতো গ্রহণ করতে পারে, তাহলে তাঁর ভেঙে পড়বার কিছু নেই। অনেকটা স্বস্তি পান কিয়ারা। নেতিবাচক মন্তব্যকে আর গুরুত্ব দিতে চান না সিদ্ধার্থ ঘরণী। সংসার আর কেরিয়ারেই মন দিতে চান। প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজস্থানে রূপকথার বিয়ে সেরেছেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা।
For all the latest entertainment News Click Here