ছ’মাস আগে সাক্ষাৎ, ‘শুধু মেয়ের জন্যই বাঁচা’, অভিষেকের স্মৃতিচারণায় চুমকি চৌধুরী
বুধবার গভীর রাতে (২৪ মার্চ) প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। একসময় টলিউড সিনেমার প্রথম সারির হিরো ছিলেন। মাঝে খানিকটা সময় ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিরতি নিয়ে ফের ছোটপর্দায় মেগায় দেখা মিলেছিল তাঁর।
সম্প্রতি, স্টার জলসার ‘মোহর’ ও ‘খড়কুটো’ এই দুই জনপ্রিয় মেগায় অভিনয় করছিলেন তিনি। ‘মোহর’ ধারাবাহিকে শঙ্খ স্যারের বাবার চরিত্রে এবং ‘খুড়কুটো’তে গুনগুনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করছিলেন।
টলিউডে একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে ছবিতে হিরো ছিলেন অভিষেক। তাঁর মৃত্যুতে বিনোদন জগতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায়ের স্মৃতিচারণায় অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী। একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা।
চুমকি চৌধুরীর কথায়, অভিষেকদার সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর বাবা অঞ্জন চৌধুরীও অভিনেতাকে খুবই ভালোবাসতেন। দুই বোন চুমকি এবং রিনার কাছে দাদার মতো ছিলেন তিনি। ছ’মাস আগে চন্দননগরে এক ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পে একসঙ্গে গিয়েছিল তাঁদের।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘ক্যাম্প শেষে আমদের ওনারা পিতলের হাঁড়ি উপহার দেন। অভিষেকদা সেই হাঁড়ি পেয়ে খুব খুশি। আমাকে বললেন, ‘এই পিতলের হাঁড়িগুলোর জন্যই এখানে আসি।’ আমি বলি, দাদা আপনার এত মিষ্টি খাওয়া ঠিক নয়, মোটা হয়ে যাচ্ছেন। ওনার উত্তর ছিল, ‘আর কী হবে, এখন তো সেই বাবা, কাকার চরিত্রই পাব। এখন শুধু আমার নিজের মেয়েটার জন্যই বাঁচা।’
গত বুধবার শ্যুটিংয়ের মাঝে অসুস্থ বোধ করেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। কাজ করতে পারেননি। চ্যানেলের লোকেরাই ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়ির লোকের হাজার অনুরোধেও হাসপাতাল যেতে চাননি। বাড়িতেই অক্সিজেন আনা হয়। ওষুধ দেওয়া হয়। মাঝ রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফেরার দেশে চলে যান অভিনেতা।
For all the latest entertainment News Click Here