চেলসি-টটেনহ্যাম ম্যাচে উত্তেজনা, হাতাহাতি কন্তে-টুচেলের, লালকার্ড দু’দলের কোচকে
মাঠের হাড্ডিহাড্ডি লড়াইয়ের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল ডাগ আউটেও। দুই কোচের হাতাহাতিতে আখেরে কলঙ্কিত হল ফুটবল। দুই কোচকে লালকার্ড দেখানো হলেও বিতর্কটা থেকেই গেল!
ঘটনাটি চেলসি-টটেনহ্যাম ম্যাচে। চেলসির কোচ থমাস টুচেল এবং টটেনহ্যামের কোচ অ্যান্তোনিও কন্তের মারামারিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতোই। কন্তে এমনিতেই খ্যাপাটে ধরনের। মেজাজ চড়া চেলসির কোচ টুচেলেরও। এই দুই কোচ যখন মুখোমুখি হন, তখন উত্তাপটা এমনিতেই গনগনে থাকে। আর রবিবার সেটাই কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রবিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি-টটেনহ্যাম। সেই ম্যাচে এমনিতেই প্রতি মুহূর্তে উত্তেজনার গনগনে আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছিল। প্লেয়াররা একটুতেই বারবার মেজাজ হারাচ্ছিলেন। মেজাজ হারাচ্ছিলেন দুই দলের কোচও। তবে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরে এই প্রথম ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে নেই মেসি, ফেবারিট রিয়াল তারকা
ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ড্র হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে হাত মেলাতে গিয়েই শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। সেখান থেকেই লেগে যায় হাতাহাতি। দুই কোচের আগ্রাসী মনোভাব এবং মারমুখী চেহারা দেখে অনেকেই আঁতকে ওঠেন। তাঁদের কিছুতেই ছাড়ানো যাচ্ছিল না। একে অপরের দিকে তেড়ে তেড়ে যাচ্ছিলেন। দু’জনকে ছাড়াতে এগিয়ে আসতে হয় দুই দলের কোচিং স্টাফ এবং রেফারিদেরও। শেষ পর্যন্ত দু’জনকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি। এই নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ভাগ্যিস, সেটা মারামারি পর্যন্ত গড়ায়নি!
প্রিমিয়ার লিগে নতুন মরশুমটা চেলসি শুরু করেছিল এভারটনের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় দিয়ে। এ দিকে বার্নলেকে ৪-১ হারিয়ে মরশুম শুরু হয়েছিল টটেনহ্যামের। কিন্তু এ দিন দুই দলকেই করতে হলো পয়েন্ট ভাগাভাগি।
চেলসির দু’টি গোলই করেছেন দুই ডিফেন্ডার। ১৯ মিনিটে কর্নার থেকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্ক কুকুরেয়া। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন কালিদো কৌলিবালি। তিনি বলটি ধরে দুরন্ত ভলিতে জালে জড়াতে কোনও ভুল করেননি। গোল পেয়ে পাখির মতো দু’হাত মেলে সেলিব্রেশনে মাতেন তারকা ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন: লজ্জার হার-ইউনাইটেডের ৮৫ বছর আগের দুঃস্বপ্ন ফিরিয়ে নজির গড়ে জয় ব্রেন্টফোর্ডের
প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় চেলসিই খেলার রাশ নিজেদের হাতে রেখেছিল। তবে বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় টটেনহ্যামও। তারা ৬৮ মিনিটে ১-১ করে দেয়। বেন ডেভিসের পাস থেকে পিয়েরে-এমিল হজবার্গ সমতা ফেরান। তবে গোলের আগে একটা ফাউলের আবেদন করেছিলেন চেলসির প্লেয়াররা। রেফারি তাতে গুরুত্ব দেননি। এই নিয়ে ডাগ আউটেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। গোলের পর সেলিব্রেশন করতে গিয়েই কন্তে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন টুচেলের সঙ্গে। তখনই প্রায় হাতাহাতি লেগে যাচ্ছিল। তবে বাকিরা এসে দু’জনকে সরিয়ে নেন।
আসলে আগ্রাসী ভঙ্গিতে চেলসির ডাগআউটের দিকে ছুটে যান কোচ কন্তে। তাঁর দিকে তেড়ে যান টুচেলও। তাতেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সেই সময়েই দুই কোচই হলুদ কার্ড দেখেন।
ফের ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। রাহিম স্টার্লিংয়ের পাস থেকে বল পেয়ে ২-১ করেন রিস জেমস। নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটে গোলশোধ করতে পারেনি টটেনহ্যাম। যখন মনে করা হচ্ছিল ম্যাচটি জিতে গিয়েছে চেলসি, সেই সময়ে ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইভান পেরিসিচের পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান টটেনহ্যামের স্ট্রাইকার হ্যারি কেন।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজলেই দুই কোচের ভিতরের উত্তেজনা বেরিয়ে পড়ে। সৌজন্যের হাত মেলাতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়ান দুই দলের কোচই।
For all the latest Sports News Click Here