চার-ছক্কায় IPL-এর স্মৃতি ফেরালেন রিঙ্কু, দলীপের ফাইনালের টিকিট পূজারাদের হাতে
যে পিচে বেলারদের জন্য সাহায্য রয়েছে, সেখানে একদিনেরও কম সময়ে প্রায় চারশো রান তুলে ম্যাচ জেতা অসম্ভবের সমান। তার উপর বৃষ্টির বাধা তো রয়েছেই। পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যাঞ্চলের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। শেষমেশ প্রকৃতি শেষ দিনের খেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতেও দেয়নি। চায়ের বিরতির পরে দিনের শেষ সেশনের খেলা ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। ফলে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়।
এক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসের ৯২ রানের লিডটাই পশ্চিমাঞ্চলকে চলতি দলীপ ট্রফির ফাইনালের টিকিট এনে দেয়। নিয়ম মতো প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট হাতে পান চেতেশ্বর পূজারারা।
তবে ম্যাচের চতুর্থ তথা শেষ দিনে যতটুকু খেলা হয়, তাতে ব্যাট হাতে দর্শক মনোরঞ্জনের চেষ্টা করেন রিঙ্কু সিং। তিনি ঝড়ের গতিতে ৪০ রান করে আউট হন। ৩০ বলের ইনিংসে রিঙ্কু ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসেও ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৯ বলে ৪৮ রানের আত্মবিশ্বাসী ইনিংস খেলেন রিঙ্কু।
পশ্চিমাঞ্চল বনাম মধ্যাঞ্চল ম্যাচের গতিপ্রকৃতি:-
টস: আলুরে টস জিতে পশ্চিমাঞ্চলের ক্যাপ্টেন প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন:- Vitality Blast 2023: স্কুপ শট খেলার সাইড এফেক্ট, সূর্যকুমারকে যাঁরা নকল করতে চান, এই ভিডিয়ো দেখা উচিত
পশ্চিমাঞ্চলের প্রথম ইনিংস: শুরুতে ব্যাট করে পশ্চিমাঞ্চল ৯২.৫ ওভারে ২২০ রানে অল-আউট হয়। অতীত শেঠ ৭৪, ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ৩৯, চেতেশ্বর পূজারা ২৮ ও পৃথ্বী শ ২৬ রান করেন। শিবম মাভি ৪৪ রানে ৬টি উইকেট নেন।
মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংস: পালটা ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল ৩১.৩ ওভারে মাত্র ১২৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। রিঙ্কু সিং ৪৮ ও ধ্রুব জুরেল ৪৬ রান করেন। আর্জান নাগওয়াসওয়ালা ৭৪ রানে ৫টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন:- IND vs WI: মহড়া সারা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টের চ্যালেঞ্জে নজর থাকবে যাঁদের দিকে
পশ্চিমাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস: ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পশ্চিমাঞ্চল। তারা ৯৩.২ ওভারে ২৯৭ রানে অল-আউট হয়। চেতেশ্বর পূজারা ১৩৩, সূর্যকুমার যাদব ৫২ ও পৃথ্বী শ ২৫ রান করেন। সৌরভ কুমার ও সরাংশ জৈন ৪টি করে উইকেট নেন।
মধ্যাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস: জয়ের জন্য ৩৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে মধ্যাঞ্চল। তারা ৩৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। রিঙ্কু সিং ৪০ ও ধ্রুব জুরেল ২৫ রান করেন। ১টি করে উইকেট নেন আর্জান নাগওয়াসওয়ালা, অতীত শেঠ, ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা ও যুবরাজসিং দোদিয়া।
For all the latest Sports News Click Here