চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে সপরিবারে হাজির ‘সহনাগরিক’ কৌশিক, খাওয়ালেন মিষ্টি
লক্ষ্মীপুজোর দিন চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে সপরিবারে হাজির হন অভিনেতা কৌশিক সেন। সঙ্গে ছিলেন ছেলে ঋদ্ধি সেনের বান্ধবী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গান্ধীমূর্তি পাদদেশে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের তাঁরা মিষ্টিও দেন। কেন এসেছেন জানাতে গিয়ে কৌশিক বলেন, সহনাগরিক হিসাবে আন্দোলনকারীদের সহমর্মীতা জানাতে তাঁরা এসেছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না আন্দোলন রবিবার ৫৭৪ দিনে পড়ল। শনিবার রেড রোডে কার্নিভালের জন্য ধর্না অবস্থান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পুলিশ। সে দিন কিছুক্ষণের জন্য প্রতীকী আন্দোলন করেন চাকরি প্রার্থীরা। রবিবার ফের তাঁরা অবস্থান শুরু করেন।
এ দিনই তাঁদের ধর্না মঞ্চে হাজির হন কৌশিক সেন, তাঁর স্ত্রী রেশমি, তাঁদের ছেলে ঋদ্ধি ও তাঁর বান্ধবী সুরঙ্গনা। পরে ঋদ্ধি ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্ট জানান কেন তাঁরা গিয়েছিলেন।
তিনি লেখেন,’কাল ছিল কার্নিভাল। আজ লক্ষ্মীপুজো। না, এটা কার্নিভালের দৃশ্য না, লক্ষ্মীপুজোরও না। এখানে ঢাকের আওয়াজ আসে না, আসে না হাজার হাজার ওয়াটের আলোর রোশনাই, পড়ে না লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ। দেখা যায় না তারকাদের উল্লাস বা ঢাকের তালে মৃদু ছন্দে নাচ। ইউনেস্কো হেরিটেজের স্বীকৃতির ছোঁয়া মেটাতে পারেনি খিদের জ্বালা। ৫৭৪ দিন সম্পূর্ণ হলো এই প্রতিবাদ সভার , ইউনেস্কো হেরিটেজের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আমাদের শহরের কী হবে জানি না কিন্তু শহরের বুকে এই মানুষগুলির অক্লান্ত ধৈর্য আর প্রতিবাদ হেরিটেজ হয়ে থেকে যাবে , এটা থাকবে ইতিহাসের অংশ হয়ে , যা আগামী প্রজন্মকে প্রশ্ন করার , রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি ওই পোস্টে কৃষক আন্দোলনেরও উল্লেখ করেন। ঋদ্ধি লেখেন, ‘এই ধৈর্যের ফল কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি, কৃষক আন্দোলনের মুখে হার মেনেছিল ভারত সরকার। আমাদের রাজ্যে এসএসসি পরীক্ষার চাকরি প্রাথীদের চোখের জল আর তাদের অদম্য ধৈর্যের কাছে আবার হারবে সরকার, হারবে দুর্নীতি, হারবে সরকারের ঠুঁটো অহংকার।’ কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁরা ধর্না মঞ্চে যাননি তা স্পষ্ট করে দিয়ে ঋদ্ধি লিখেছেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে যাইনি, আমরা গেছি নাগরিক হিসেবে।’
For all the latest entertainment News Click Here