ঘর ছেড়ে কেন দক্ষিণের ছবিতে? HT বাংলাকে সাফ জবাব বিজয় সেতুপতির নায়িকা ঋত্বিকার

শুরুটা করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসাবে, তখন ঋত্বিকা সেন অবশ্য অনেক ছোট। বয়স তখন মাত্র ৫। জনপ্রিয় এক বাংলা ধারাবাহিকের হাত ধরেই কাজ শুরু করেন অভিনেত্রী। পরে ২০১০ রবি কিনাগীর ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে ডেবিউ করেন তিনি। পরে বেশকিছু জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন। আর এবার তাঁকে দেখা যাবে বাংলা ওয়েব সিরিজে। ‘অভিশপ্ত’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় ও দক্ষিণে চুটিয়ে কাজ, সব নিয়েই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন ঋত্বিকা সেন।

অনেকদিন পর ফিরছেন, এতদিন কেন দেখা যায়নি বাংলায়?

ঋত্বিকা: হ্যাঁ, অনেকদিন পর বাংলায়। তবে একেবারেই যে করিনি তা নয়। গতবছরও একটা ছবি করেছি। টুকটাক কাজ করছি। হয়ত অনেক করছি না বলে সেভাবে চোখে পড়েনি। আর মাঝে তো লকডাউনও ছিল, সেটাও তো মাথায় রাখতে হবে। 

‘অভিশপ্ত’ ওয়েব সিরিজে আপনার চরিত্রটি ঠিক কেমন?

এখানে অপর্ণা বলে একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে খুব সাধারণ বাঙালি ঘরের মেয়ে। একেবারেই পাশের বাড়ির মেয়ে। অপর্ণা খুব বুদ্ধিমতী, পড়াশোনাতেও ভালো, দেখাশোনা করে ওর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর নতুন বাড়ি, নতুন পরিবেশ। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে একটা রহস্যের মধ্যে পড়ে অপর্ণা। ট্রেলারে দেখেছেন অপর্ণার চোখে একটা ভয় রয়েছে। এখানে প্রতিটা চরিত্রের অনেক শেড আছে, বাড়িতে অনেক রহস্য আছে, তবে আমি এর বেশিকিছু এখনই ফাঁস করতে চাই না। (হাসি)

‘অভিশপ্ত’ কেন বাছলেন?

ঋত্বিকা: আমি আসলে অনেকদিন ধরেই ওয়েব সিরিজে কাজ করতে চেয়েছিলাম। আগেও বেশকিছু প্রস্তাব পেয়েছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে গল্প পছন্দ হয়নি, আবার কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, আমার সঙ্গে হয়ত এই চরিত্রটা যাবে না বা হয়ত আমি এটা পেরে উঠব না। শেষপর্যন্ত ‘অভিশপ্ত’র চিত্রনাট্য হাতে আসার পর মনে হয়েছে, এটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। এমনিতেও আমির থ্রিলার ওয়েব সিরিজ বেশ পছন্দ করি। এধরনের ওয়েব সিরিজ অনেক দেখি। তাই ‘অভিশপ্ত’ করতে পেরে বেশ ভালোই লাগছে।

শ্যুটিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শুনলাম?

ঋত্বিকা: আসলে প্রচুর চাপ হলে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ি। সেসময় প্রথমে সামান্য ডাস্ট এলার্জি হয়েছিল, যেটা আমারই গাফিলতিতে বাড়াবাড়ির পর্যায় পৌঁছায়। কমতে অনেকটা সময় লেগেছে। তবে ‘অভিশপ্ত’ টিমে সকলে আমরা পরিবারের মতোই কাজ করেছি, তাই অসুবিধা হয়নি শ্যুটিং করতে।

গৌরব চট্টোপাধ্যায় সহ-অভিনেতা হিসাবে কেমন?

ঋত্বিকা: গৌরব অভিনেতা, সহ অভিনেতা দুই ক্ষেত্রেই দারুণ। (হাসি)

দক্ষিণে তো চুটিয়ে কাজ করছেন কোন কোন ছবিতে দেখতে পাব?

ঋত্বিকা: দক্ষিণে ‘কদে কদম সোল্লাভা’ বলে আমার একটা ছবি আসছে, ওখানে নকুল হিরো, আর বিজয় সেতুপতি আছেন। আর ‘তাম্বাটা’ বলে একটা ছবি আসছে, ওই ছবিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় আমিই আছি, আর রয়েছেন মল্লিকা শেরাওয়াত। এখনও পর্যন্ত চারটে ছবি করেছি।

আরও পড়ুন-আমার জীবন বা কেরিয়ারে কোনও ‘গডফাদার’ পাইনি, ‘গডমাদার’ পেয়েছি: প্রসেনজিৎ

আরও পড়ুন-গৌরবের সঙ্গে বিয়ের পরই ঋত্বিকার সঙ্গে ঘটে অদ্ভুত সব ঘটনা! কী এই ‘অভিশপ্ত’ রহস্য?

<p>কলকাতায় ঋত্বিকা সেন</p>

কলকাতায় ঋত্বিকা সেন

দক্ষিণে কাজ করার সময় ভাষা নিয়ে সমস্যা হয় না?

ঋত্বিকা: সেটা একটু তো হয়, তবে সকলে ভীষণ হেল্পফুল, তাই হয়ে যায়। তবে আমি তো অবশ্য ডাব করি না। অভিনয়ের সময় কাজ চলে যায়। আমি মোটামুটি বুঝতে পারি ওখানকার ভাষা। কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো টুকটাক বলেও নি, ওই ভাঙা ভাঙা (হাসি)। এটা চিত্রনাট্য পড়তে পড়তে ওখানে কাজ করতে করতেই শিখেছি।

বাংলায় কেন সেভাবে কাজ করছেন না?

ঋত্বিকা: ভাল গল্পের প্রস্তাব পেলে নিশ্চয় করব। তবে এখন আসলে খুব বেশি ছবি করছি না। এখন পড়াশোনা নিয়েই আছি আর নিজের মতো সময় কাটাচ্ছি, এই আর কি…।

আপনি এখন স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন?

ঋত্বিকা: এখন BBA করছি। হ্যাঁ, আপাতত এটা নিয়েই একটু ব্যস্ত…।

অনেক ছোট্ট থেকে অভিনয় করছেন, পড়াশোনার ক্ষতি হয়নি?

ঋত্বিকা: না সামলে নিয়েছি সবটা। প্রথমদিকে আমি ICSE বোর্ডে পড়তাম, পড়ে CBSE- বোর্ডে চলে যাই স্কুল বদলে। মাধ্যমিকের সময় ‘রাজা রানি রাজি’ প্রমোশন চলছিল, আমি বিশেষ পড়াশোনা-ই করতে পারিনি তখন। ওই সময়টা একটু চাপ হয়েছিল। আমার মা-বাবা খুব বেশি চাপ দেননি কখনও। তারপরেও আমি মাধ্যমিকে ৬৭-৬৮ শতাংশ নম্বর পাই।

এত অল্প বয়সে অভিনয়ে আসার ইচ্ছাটা কীভাবে তৈরি হল?

ঋত্বিকা: ঠিক কীভাবে, এটা আমিও ঠিক বলতে পারব না (হাসি)। আসলে শুরুটা যখন হয়েছিল, তখন আমি অনেকটাই ছোট, মাত্র ৫ বছর। শুধু মনে আছে লাইট- ক্যামেরা-অ্যাকশন ভালো লাগত। বাবা-মা পাশে থেকেছেন। ওঁদের খুব ইচ্ছা ছিল।

তোমার বয়স নাকি মাধ্যমিক দেওয়ার সময়ই উইকিপিডিয়াতে ৩২ লেখা হয়েছিল!

ঋত্বিকা: আমি যখন ‘বরবাদ’ করি তখন হাইস্কুলেও যায়নি। তখনই ছবিতে মানুষ আমাকে কলেজ ছাত্রী হিসাবে দেখেছেন। সেই হিসাবেই হয়ত কেউ ভুল ভেবেছিলেন! মাধ্যমিক দেওয়ার সময় দেখি উইকিপিডিয়ায় বয়স লেখা ৩২! তবে সেটা নিয়ে সিরিয়াস সমস্যা কিছুই হয়নি, তবে লোকজয় আলোচনা করেছে..। অনেকেই প্রশ্ন করত, একটা সময় জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, তাই একসময় কিছুটা বিরক্ত হয়েই চুপ করে গিয়েছিলাম।

 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.