‘ঘরের মাঠে আরও অ্যাটাকিং ফুটবল খেলা উচিত ছিল,’ বাগান জয়ের পর বললেন বাইচুং
বল পায়ে এগোচ্ছেন তিনি। মোহনবাগান সমর্থকদের চিৎকারে গর্জে উঠছে গ্যালারি। বাগান সমর্থকদের আশা গোল হবে। গোল করলেন। সবুজ মেরুন গ্যালারি জুড়ে তখন একটাই নাম বাইচুং ভুটিয়া। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দাপিয়ে খেলা প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আইএসএলের সেমিফাইনালে মোহনবাগান বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচ দেখতে উপস্থিত তিনি। একটা সময় ছিল যখন সমর্থকরা তাঁর হয়ে গলা ফাটাতেন। এখন তিনি মোহনবাগান সমর্থনে মাঠে এসেছেন। সঙ্গে ছেলে উগেন ভুটিয়া।
মোহনবাগান ম্যাচ জিতেছে টাইব্রেকারে। তার আগে যতবার আক্রমণে উঠেছে লাফিয়ে উঠেছেন বাইচুং। গোল না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। পাশে বসে থাকা ছেলে অবাক হয়ে দেখেছে বাবার ছেলেমানুষী। এক সময় বাধ্য হয়ে প্রশ্নই করে ফেলে বাবা কেন গলা ফাটাচ্ছে মোহনবাগানের হয়ে? প্রশ্ন শুনে সহাস্যে উত্তর দেন বাইচুং ‘এই মোহনবাগানের জার্সি গায়ে কত ম্যাচ খেলেছি। ডার্বিতে মোহনবাগানের হয়ে ছটা গোল করেছি। সেই দলের হয়ে গলাত ফাটাবোই।’ এই যুবভারতীতেই এক লক্ষেরও বেশি দর্শকের সামনে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি সেই স্মৃতি মনে করে ছেলেকে বলেন, ‘দেখবে গোল হলে সমর্থকরা কেমন চিৎকার করে ফুটবলারদের অভিনন্দন জানায়।’
এই ম্যাচে সময় এগোলেও খেলা গোল শূন্য থেকেছে। বিরতির সময় তাই হতাশা প্রকাশ করে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘ঘরের মাঠে খেলা তবুও মোহনবাগান খুব বেশি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলছে। একটু আক্রমণাত্মক খেললে ক্ষতি হত না। শুধু মোহনবাগান না হায়দরাবাদও সেফ ফুটবল খেলছে। যা মনে হচ্ছে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোল পাওয়ার জন্য একটু আক্রমণাত্মক খেলতে হয়। যেটা ওরা করেনি। সেমিফাইনাল বলে হয়তো একটু বাঁচিয়ে খেলেছে। কিন্তু ঘরের মাঠে নেমেছে ওদের একটু আক্রমণাত্মকভাবে খেলা উচিত ছিল। তবে এবার ওরা খুব ভালো টিম গড়েছে। ফাইনালে প্রত্যাশিত ছিল বাগানের।’
তাঁর কথা মতো খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষকের হাতের কাছে হার মানতে হয় হায়দরাবাদকে। পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে জেতে এটিকে মোহনবাগান। আগামী শনিবার আইএসএলের ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাগান। এখন এটাই দেখার ফের কলকাতায় আইএসএল আসে কিনা।
For all the latest Sports News Click Here