গুন্ডাদের সঙ্গে লড়াই…-হল না পেয়ে কার্যত হাল ছাড়লেন দ্য কেরালা স্টোরির প্রযোজক
দ্য কেরালা স্টোরি বিতর্ক যেন আর শেষ হতেই চাইছে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এই ছবির উপর তার উপর ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে। তবুও এই রাজ্যের একটিও হলে চলছে না এই ছবি। এবার ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ এই বিষয়ে মুখ খুললেন।
বিপুল বললেন দ্য কেরালা স্টোরি ছবির নির্মাতারা যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায় নিয়েছে স্রেফ এই ছবিটাকে দেশের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তবুও একাধিক জায়গায় এই ছবিটি যথেষ্ট পরিমাণ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে না। তাঁর মতে তাঁরা তো এখন আর পথে নেমে গুন্ডাদের সঙ্গে ঝামেলা করতে পারবেন না। যা করার করেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত ৫ মে মুক্তি পায় সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবি। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পাওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মাথাতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। ছবির প্রযোজকরা আইনি পথে হাঁটতে শুরু করেন। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তামিল নাড়ুতেও ছবিটি চলছে না বলে কোনও হলে রাখা হয়েছিল না। সেখানেও সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়ে বলেছে যে এই ছবি চালাতে এবং একই সঙ্গে যাঁরা সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন সেই দর্শকদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য একটাই ছিল এটা রাজ্য সরকারকে দেখতে হবে যাতে সেখানে সুশাসন বজায় থাকে কারণ ছবিটা সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিয়েই মুক্তি পেয়েছে।
বিপুল শাহ DNA -কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে যা যতটা ছিল আমরা করেছি আইন মেনে। সুপ্রিম কোর্টের উপরে তো কেউ নয়। আমরা এখন তাই সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন করব যে রাজ্যগুলো আদেশ মানল না তাদের যেন কড়া শাস্তি দেয় যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই কাজ না করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট ব্যান তুলে নিয়েছে। এর বাইরে গিয়ে আমরা কি করতে পারি? আমরা তো আর পথে নামতে পারব না বা এই রাজনৈতিক দলগুলোর গুন্ডাদের সঙ্গেও লড়তে পারব না।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবিকে উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়ে এটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। বলেছিলেন এই ছবি প্রদর্শিত হলে রাজ্যে অশান্তি, হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শান্তি বজায় রাখতেই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত সুদীপ্ত সেনের এই ছবিতে কেরলের মেয়েদের যে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হতো সেই ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে। দেখানো হয়েছে মেয়েগুলোকে পরবর্তীতে আইসিসে নিয়োগ করা হতো। এই ছবিতে আদা শর্মা, যোগিতা বিহানি, সোনিয়া বালানিকে দেখা গিয়েছে।
For all the latest entertainment News Click Here