‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যার আবদারে গান শোনাতেন মমতা! ‘নীল-সাদা সেলাম’, বিদ্রুপ শ্রীলেখার
‘ভালো ছিলেন। আচমকা একদিনে হঠাত্ কী হয়ে গেল!’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সন্ধ্যাদি বলে ডাকতেন মমতা। বড়দিদি হিসাবে তাঁকে বরাবর কাছে টেনে নিতেন গীতশ্রী। সেই ছবি বহুবার ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কখনও গানমেলার মঞ্চে, কখনও অন্য কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
গত ২৭শে জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে ভর্তি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির নিয়মিত খোঁজ খবর নিতেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যাদি ভালো আছেন তেমন কথা শুনে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন, কিন্তু আচমকাই সব ওলোট-পালোট হয়ে গেল। করোনা-জয়ী বর্ষীয়ান গায়িকার শারীরিক পরিস্থিতি মঙ্গলবার হঠাত্ বিগড়ে যায়, আর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সব লড়াই শেষ। সংগীত জগতের আকাশ থেকে খসে পড়ল সন্ধ্যা-তারা। প্রয়াত শিল্পীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অনেক সময়ই ফোনে তাঁর কাছে গান শোনবার আবদার জানাতেন। মমতার এই স্মৃতিচারণাকেই কটাক্ষ করলেন শ্রীলেখা।
বাম সমর্থক হিসাবেই পরিচিত শ্রীলেখা। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই মমতা সরকারের সমালোচনা মুখর হন। মমতার স্মৃতিচারণা সংক্রান্ত খবরের এক লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করে তিনি কটাক্ষের সুরে লেখেন, ‘এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই সময়ের মহান শিল্পী যার শুনতে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বার বার অনুনয় বিনয় করতেন, মহান গায়িকা/সুরকার/কবি/ অঙ্কনশিল্পী (আর কিছু বাদ পড়িল?) আপনাকে জানাই নীল-সাদা সেলাম’।
এই পোস্টে মমতার বহুমুখী প্রতিভা নিয়ে বিদ্রুপ করেন শ্রীলেখা। উত্তরবঙ্গ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ফোনে মঙ্গলবার রাতে জানান, ‘সন্ধ্যাদি নিজে এতো ভালো গান করতেন। কখনও কখনও আমাকে ফোনে গান শোনাতে বলতেন। আমি বলতাম, আপনি আমাকে গান শোনাতে বলছেন! ভাবতে পারবেন না, কখনও কখনও আমাকে সন্ধ্যাদিকে গান শোনাতে হয়েছে। উনি এতটাই ভালোবাসতেন আমাকে’।
আজ বিকালে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে ফিরছেন মমতা, সন্ধ্যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
For all the latest entertainment News Click Here