গিল,পৃথ্বীর সঙ্গে অ্যাড শ্যুট করেছিলাম, কেউ ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলল না, হতাশ বীরু
NEW DELHI :
আজকের তরুণরা কী কিংবদন্তিদের থেকে শিখতে চান না। আইপিএলের যশ, বৈভব, অর্থের প্রাচুর্য্যে কী হারিয়ে যাচ্ছে শেখার ইচ্ছা। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের বিবৃত করা এক অজানা কাহিনি শুনে সেই প্রশ্নই উঠে আসছে অনেকের মনে। অতীতে তারা কীভাবে লেজেন্ডদের থেকে চেটেপুটে সব জ্ঞান নিতেন ও এখনকার তারকাদের মধ্যে যে নিস্পৃহ ভাব তিনি দেখেছেন, সেই গল্পই শোনান ঠোঁটকাটা বীরু।
সেহওয়াগ বলেন যে তিনি একটি অ্যাড শ্যুটে দেখা করেছিলেন পৃথ্বী শ-এর সঙ্গে। সেখানে ছিলেন শুভমন গিলও। কিন্তু প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে একসঙ্গে সেই প্রক্রিয়া চললেও একবারও ক্রিকেট প্রসঙ্গে তারা কোনও কথা তোলেননি। এতে অবাক হয়েছেন তিনি। তাঁর ক্রিকেট জীবনের প্রসঙ্গ তুলে বীরু বলেন যে ২০০৩-০৪ সালে তাঁর সঙ্গে কীভাবে সুনীল গাভাসকরের কথা হয়। বীরু বলেন যে তখনও তিনি দলে অপেক্ষাকৃত নতুন। তাই কোচ জন রাইটকে দায়িত্ব দেন গাভাসকরের সঙ্গে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করার। সেই অনুযায়ী নৈশভোজের আয়োজন করেন জন রাইট। সেখানে সুনীল গাভাসকরের সঙ্গে বীরু ও তাঁর তৎকালীন ব্যাটিং পার্টনার আকাশ চোপড়া উপস্থিত ছিলেন। অগাধ ক্রিকেটীয় পাণ্ডিত্যের মালিক গাভাসকরের থেকে ওই কয়েক ঘণ্টায় অনেক কিছু শিখেছিলেন দুই ওপেনার। সেই ক্রিকেটীয় জ্ঞানের সাগর থেকে বিরল মণিমাণিক্য যে তাঁদের কেরিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছিল, সেটা স্পষ্ট বীরুর কথায়। কিন্তু নতুন প্রজন্মের মধ্যে যে সেই খিদেটা নেই, সেটাও দুঃখ দেয় নজফগড়ের নবাবকে।
পৃথ্বী শ-কে নিয়েও নিজের মনের কথা ব্যক্ত করেন বীরু। তাঁর মতে, যত না টেকনিক, মানসিক দিক থেকে এখনও তৈরি নন এই তরুণ ক্রিকেটার। যতদিন না তিনি মানসিক ভাবে ক্রিকেটের চাপ নিতে সক্ষম হবেন, ততদিন সফলতা আসবে না বলে জানান এই প্রাক্তনী। তাঁর মতে, পৃথ্বীর যদি কোনও প্রাক্তনীর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে থাকে, সেটা তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিকর্তাদের জানাতেই পারেন। তারা ব্যবস্থা করে দেবে। প্রসঙ্গত, অনেকেই পৃথ্বীর ব্যাটিং শৈলীর সঙ্গে বীরুর স্টাইলের মিল পান। তবে নিজের আমলে অনেক বেশি ধারাবাহিক ছিলেন সেহওয়াগ। সেখানে পৃথ্বী পাঁচটি ম্যাচ খেললে একটিতে রান পান। তার পরেও তিনি সাহায্যের জন্য প্রাক্তনীদের অ্যাপ্রোচ করছেন না, এই নিয়েই যাবতীয় হতাশা।
For all the latest Sports News Click Here