‘গায়ে হাত তুললে সম্পর্ক আর থাকে না’, পঞ্চম স্বামীর নামে বিস্ফোরক অভিযোগ পরীমনির
বছরের শুরুতে অভিনেতা শরীফুল রাজকে নিজের হবু সন্তানের পিতা এবং স্বামী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন পরীমনি। বছরের শেষদিন রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ঢালিউডের বিতর্কিত এই নায়িকা। পরীমনি-রাজের বিয়ের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন এই বিয়ের মেয়াদ ক’দিন? এর আগে চারবার বিয়ে ভেঙেছে পরীমনির। কিন্তু রাজ-পরীর জীবনে রাজ্য (তাঁদের পুত্র) আসবার পর সেই ধারণা বদলাতে শুরু করেছিল, তবে আচমকাই ছন্দপতন।
নভেম্বর মাসে স্বামীর নামে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন পরীমনি। বাংলাদেশের অপর নায়িকা বিদ্য়া সিনহা মিমের সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আপত্তি জানান পরীমনি। এরপরেও মিটমাট হয়ে গিয়েছিল দুজনের। কিন্তু শুক্রবার মধ্যরাতে পরীমনি ফেসবুকে লেখেন, ‘অসুস্থ সম্পর্ক থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম’। এরপর বছরের প্রথমদিনই দুটো রক্তমাখা ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। যেখানে বিছানার চাদরে এবং কোলবালিশে রক্তের ছোপ দেখা যায়।
সময় গড়াতেই স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনলেন পরীমনি। হ্যাঁ, শরীফুল রাজ তাঁর গায়ে হাত তুলত নিয়মিত এমনই অভিযোগ অভিনেত্রীর। পরীমনি লেখেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই’।
এই সম্পর্ক একতরফাভাবে টিকিয়ে রাখবার চেষ্টা করেছেন তিনি, জানান ‘গুণিন’ নায়িকা। পরীমনি লেখেন, ‘আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই, এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সুত্র হয়ে দাঁড়ালো। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিলো শুধু।’
এরপর পরীমনির সংযোজন, ‘কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।’ তবে চারমাসের শিশুপুত্র রাজ্যর দিকে তাকিয়ে সব ভুলে থাকার চেষ্টা করেছিলেন তিনি, লেখেন পরীমনি। ফেসবুক পোস্ট পরীর দাবি, ‘রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পরে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না । একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।’
শুরুতে অভিনেত্রী বলেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলন করবেন, সেই সিদ্ধান্ত পালটেছেন। কারণ হিসাবে বলেন, ‘রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না, আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি।’
নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত বলে উল্লেখ করে পরীমনির হুঁশিয়ারি, কোনওভাবে রাজ বা তাঁর পরিবার দ্বারা আক্রান্ত হলে কঠোর পথে হাঁটবেন তিনি। এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি দুজনের। তবে শীঘ্রই রাজকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি দেবেন নায়িকা।
For all the latest entertainment News Click Here