গম্ভীরকে KKR-এ ফেরানোর দাবি ইডেনে, জবাবে কলকাতাকে প্রেম নিবেদন আবেগতাড়িত গৌতমের
২০১১ সালে কেকেআর-এ শুরু হয়েছিল তাঁর যাত্রা। দীর্ঘ ছ’বছর পর ২০১৭ সালে গিয়ে শেষ হয় সেই যাত্রা। তিনি গৌতম গম্ভীর। কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে ১০৮টি ম্যাচ খেলেছেন। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দু’বার আইপিএল ট্রফি এনে দিয়েছেন। তাঁর ক্রিকেট বুদ্ধিতে কলকাতাকে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন আধা যুগ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলতে অজ্ঞান কলকাতার সঙ্গে নাইটরাইডার্সের সম্পর্কে যেন ছেদ পড়েছিল ২০১০ সালের পর। তবে গৌতম গম্ভীর ফের নাইটরাইডার্সকে কলকাতার আত্মার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন। তবে শুধু আইপিএল জয় নয়, গৌতমের না হারা মনোভাবও কলকাতার মন জয় করেছিল। একসময় এই মনোভাবই দেখা যেত সৌরভের মধ্যে। এদিকে গৌতমের পর আর কেউ আইপিএল জয়ের স্বাদ এনে দিতে পারেনি কেকেআর সমর্থকদের কাছে। আর তাই মনে হয় এখনও কলকাতাবাসীর মন কেমন করে গৌতমের জন্য। আর সেটাই যেন গতকাল ফুটে উঠেছিল ইডেনের স্ট্যান্ডে।
গতকাল ক্রিজে তখন রিঙ্কু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে লখনউয়ের বিরুদ্ধে। সেই লখনউয়েরই মেন্টর গৌতম গম্ভীর। আর তারই মাঝে টিভির পর্দায় ফুটে উঠল বড় একটি ব্যানারে। তাতে লেখা, ‘ব্রিং ব্যাক জিজি টু কেকেআর’; অর্থাৎ, গৌতম গম্ভীরকে কেকেআরে ফিরিয়ে আনো। স্টেডিয়ামের বড় স্ক্রিনেও সেই ব্যানার ফুটে উঠেছে। নিশ্চয় গৌতমেরও চোখ গিয়েছে সেদিকে। সেই মুহূর্তে ক্ষণিকের জন্য হলেও কি গৌতমের মনে কেকেআর প্রীতি ফের জেগে উঠেছিল? খুব সম্ভবত না। পেশাদার ক্রিকেটে আবেগের স্থান নেই। তবুও ক্রিকেট আবেগের খেলা। তাই ম্যাচ শেষে গৌতমও থাকতে পারলেন না। গভীর রাতেই টুইট করে কলকাতার প্রতি নিজের ভালোবাসার জানান দিলেন। ছোট্ট ক্যাপশনে শুধু লিখলেন, ‘তোমরা সবাই জানো যে আমি কলকাতাকে কতটা ভালোবাসি’। মন যেন বলতে চাইছিল, ‘পারলেই কলকাতায় যোগ দিতাম’। সঙ্গে টুইটে ইডেনের স্ট্যান্ডের তিনটি ছবি। ‘ব্রিং ব্যাক জিজি’-র ব্যানারের ছবিও ছিল তাতে।
ক্রিকেটে অনেক সময়ই রেকর্ডকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে ক্রিকেটের সূত্রে গাঁথা আবেগ জায়গা করে নেয় মানুষের মনে। সেই স্মৃতি চট করে ভোলার নয়। তাই তো গৌতমের বিদায়ের ছ’বছর পরও গৌতমে বুঁদ ইডেন। ২০১২ সালে কেকেআর-কে প্রথম ট্রফি এনে দিয়েছিলেন গৌতম। আবার এই গৌতমই ২০১৪ সালে পরপর তিনবার শূন্য এবং তারপর ১ রানে আউট হয়েছিলেন। তবে লড়াই তিনি থামাননি। সেবারও দলকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন গৌতম। তাঁর তীক্ষ্ণ ক্রিকেটীয় বুদ্ধিতেই সুনীল নারিনকে দিয়ে ওপেনিং করিয়েছিলেন। মিস্ট্রি স্পিনারকে পিঞ্চ হিটার বানিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ট টি২০ ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবেরও উত্থান গৌতমের নেতৃত্বে। একসময় কেকেআর-এর ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল সূর্যকে। তখনও সূর্য ভারতের জার্সি পাওয়ার থেকে বহু দূর। তবে গৌতম বুঝেছিলেন তাঁর প্রতিভা। গৌতম বুঝেছিলেন কলকাতার আবেগ। তাই লখনউয়ের গৌতমের গলায় আজও কলকাতার প্রতি ভালোবাসার বার্তা শোনা যায়। বিপক্ষে থাকা দিল্লিবাসী বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝগড়া করা গৌতম তাই প্রতিপক্ষ কলকাতাকে নিয়ে টুইট করেন।
For all the latest Sports News Click Here