‘খোলামেলা পোশাকে স্বচ্ছন্দ হলে ট্রোলিংকে পাত্তা দেওয়া উচিত না’: শ্রাবন্তী
গত শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন বাংলা ছবি কাবেরী অন্তর্ধান। এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এই ছবি এবং সেই সম্পর্কিত নানা বিষয়ে নিজের মতামত জানালেন অভিনেত্রী। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন এই ছবিতে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর কেমন ছিল। অভিনেত্রীর কথায়, ‘ছোটবেলার ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি। মানুষটা একই আছে। উনি নিজে একজন বড় মাপের অভিনেতা। আমার চরিত্র আমায় ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার কোনও সমস্যাই হয়নি। আমি ভীষণ সাবলীল ছিলাম। ধন্যবাদ কেজি।’
মেয়ের পর সোজা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে! ৩০ বছরের ফারাকে এই সম্পর্কের বদল, এতে কোনও অস্বস্তি হয়নি? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান, ‘এই ছবিতে আমাদের সম্পর্ক কী সেটা বলে থ্রিলারের সাসপেন্স নষ্ট করব না। তবে হ্যাঁ, ২৫ বছর আগে আমি বুম্বাদার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম, আবার এতদিন পর ওঁর সঙ্গে কাজ করাটা একটা স্বপ্নের মতো। আমি বহুদিন চেয়েছিলাম ওঁর সঙ্গে কাজ করতে। কিন্তু সুযোগ হয়নি। কাবেরী অন্তর্ধান ছবিতে আমি একসঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং বুম্বাদার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।’
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রীকে তেমন বাণিজ্যিক ছবিতে আর দেখা যায়। এখন তবে কেমন ধরনের ছবি করতে তিনি পছন্দ করেন? যতই বাণিজ্যিক ছবিতে এখন কম দেখা যাক, অভিনেত্রীর কথায়, ‘বাণিজ্যিক ছবি হোক বা অন্যধারার ছবি, আমি সব ধরনের ছবিই করতে চাই। কারণ আমি অভিনেত্রী। আমি যে চরিত্র পাব সেটাকেই পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।’
এই ছবিতে টলিউডের একাধিক দিকপাল অভিনেতাদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের থেকে কতটা শিখলেন অভিনেত্রী? এটা কি একটা মাস্টার ক্লাস ছিল তাঁর কাছে? ‘সত্যি আমি শিখতাম, প্রায় সব কিছুই শিখেছি। আর সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আমার শট না থাকলেও মনিটরের পাশে বসে কৌশিক সেন, চূর্ণী দি, বুম্বাদা, কেজির অভিনয় দেখতাম আর শিখতাম। তাঁদের অভিনয় থেকে তাকানো, চলা ফেরা থেকে স্থিরতা অনেক কিছুই শিখেছি’ বলেই অভিনেত্রী জানান।
এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের মুখে একটি সংলাপ শোনা যায়, ‘আমার ন্যুডিটি আমার কনসার্ন’, এই প্রসঙ্গে বাস্তব জীবনে তাঁর মত কী? কারণ হামেশাই তাঁকে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, পোশাক নিয়ে নানা ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে। নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ সইতে হয়েছে। ফলে সেটা নিয়ে তাঁর কী মত? এই বিষয়ে শ্রাবন্তী বলেন, ‘যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁদের নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবা উচিত। তারপর অন্যকে জাজ করুক। আজকাল মানুষ অতিরিক্ত জাজমেন্টাল হয়ে গিয়েছে। ট্রোল নিয়ে আমি ভাবি না, পাত্তা দিই না। যে খোলামেলা পোশাক পরে স্বচ্ছন্দ তার অন্যদের কথায় পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। কারণ অনেকের হয়তো তাঁকে দেখে ভালো লাগছে। আমাদের হাতের পাঁচটা আঙুল তো আর সমান নয়।’
For all the latest entertainment News Click Here