‘খিলাফত ভোট ব্যাঙ্ক’: ওড়িশা দুর্ঘটনায় মমতা টানলেন গোধরা প্রসঙ্গ! টুইট বিবেকের
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তু তু ম্যায় ম্যায় চলছে বলিউড পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর। রবিবার ফের একবার মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি মমতা টেনে আনেন গোধরা সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরানোর ঘটনা। তাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিবেক।
‘যারা (বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার) ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে, তারা যে কোনও সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারে। লোকেদের পাশে না দাঁড়িয়ে, তারা আমাকে, নীতীশজি, লালুজিকে গালি দিচ্ছে… গোধরায় চলন্ত ট্রেনে কীভাবে আগুন লাগল?… এত মানুষ মারা গেল, তাদের অন্তত ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।’ রবিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা।
আর এরপরই গোধরায় ‘খিলাফত ভোট ব্যাঙ্ক’ একত্রিত করার জন্য তাণ্ডব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে অগ্নিহোত্রী টুইট করেছেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এই তুষ্টি আরও তীব্র হবে৷ ২০২৪ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সাম্প্রদায়িক নির্বাচন হতে চলেছে। এই পূর্বাভাস পড়ুন।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের প্রাণহানির ও ১০০০ জনের বেশি মানুষের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। যা দেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পরিবর্তিত মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেছেন, ‘কীভাবে রেল মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য এত আলাদা? সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিসংখ্যান বদলাচ্ছে। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’
‘গতকাল যখন তিনি (অশ্বিনী বৈষ্ণব) আমার সাথে উপস্থিত ছিলেন এবং আমি সংঘর্ষবিরোধী যন্ত্র (anti-collision device)-এর কথা বলেছিলাম, তখন তিনি কেন মুখ খুললেন না? ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, আমরা চাই সত্য বেরিয়ে আসুক’, বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সদস্য জয়া বর্মা সিনহা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিগনালিংয়ের কিছু সমস্যার কারণেই ঘটে এই গণ্ডগোল। ‘আমরা এখনও রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনারের বিশদ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। শুধুমাত্র করোমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। ট্রেনটি প্রায় ১২৮ কিমি/ঘন্টা গতিতে ছিল’, জানান তিনি।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলতেই পালটা আসছে বিজেপির থেকেও। সোমবার দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (রেলমন্ত্রী থাকার সময়) কী করেছেন, আমরা জানি। তাঁর সময় প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মত অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে।’
যদিও সাধারণ মানুষ এখন চাইছেন দ্রুত শেষ হোক উদ্ধারকাজ। প্রিয়জনরা খুঁজে পাক ট্রেন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়া হতভাগ্যদের। এখনও স্বজনহারানোর যন্ত্রণা গোটা দেশে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest entertainment News Click Here