ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়োতে চটেছেন জৈনরা! আমিরের প্রোডাকশনের তরফে মুছে দেওয়া হল ভিডিয়ো
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আমি খানের ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’। বলিউডের মিস্টার পারফেক্টসনিস্টের ছবি মানেই প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। সমালোচক ও সিনেমাপ্রেমীদের মনেও জায়গা করে নিতে পারেনি ‘লাল সিং চাড্ডা’। এ কারণে নেট দুনিয়ায় আমিরকে রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত করছেন বিদ্রুপকারীরা। ‘লাল সিং চাড্ডা’ নিয়ে এত বিতর্ক হলেও অভিনেতা চুপ ছিলেন।
কালজয়ী হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’–এর হিন্দি রিমেক ‘লাল সিং চাড্ডা’। এই ছবিকে ঘিরে যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তা থামার কোনও নাম নেই। এমনকি ছবির নির্মাতারাও এর ভরাডুবির দায় আমিরের কাঁধে চাপিয়েছেন।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ভরাডুবির প্রায় দিন পনেরো পর, আমির খান প্রোডাকশনস-এর তরফে একটি ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। গতকাল জৈন ধর্মের ক্ষমা প্রার্থনার দিন ছিল। জৈনদের পবিত্র পরবের পরয়ুশনের (এই সময়ে জেনে বা না জেনে করে থাকা ভুলে ক্ষমা চাওয়া হয়) শেষ দিন অর্থাৎ সম্বতসরিটি ভিডিয়োটি পোস্ট করে। স্ক্রিনে লেখার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে ওঠে একটি ভয়েস ওভারও। আরও পড়ুন: Raju Srivastava: গায়ে জ্বর, ফের ভেন্টিলেশন সাপোর্টে কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব
এই ভিডিয়ো ক্লিপিংসে থাকা ভুল নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ভিডিয়ো পোস্ট করার ঘণ্টা খানেক বাদে, আমিরের প্রোডাকশন হাউসের তরফে এ দিনই দুপুরের দিকে ভিডিয়ো মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে। আরও পড়ুন: ‘দরিদ্র ক্রু পরিবারগুলিকে ধ্বংস করছি’,বিজয়ের ছবি প্রসঙ্গে ‘লাইগার’ ডিস্ট্রিবিউটর
ভিডিয়োটিতে আমির ভক্তদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মিচ্ছামি দুক্কড়ম (আমার ভুল–ভ্রান্তি ক্ষমা করো)। আমরা সবাই মানুষ। আর ভুল–ভ্রান্তি আমাদের হয়েই থাকে। কখনও কথার মাধ্যমে, কখনো নিজের ব্যবহারে, আবার কখনও বা অজান্তে। কখনও রেগে, আবার কখনো হাসি-মজার মাধ্যমে। কখনও কথা না বলে। আমি যদি কোনওভাবে কখনও আপনাদের মনে আঘাত দিয়ে থাকি, সে জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ আরও পড়ুন: ‘এক বছর ধরে সিঙ্গেল’, সারা আলি খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন কার্তিক
ভিডিয়োর ৪ সেকেন্ডে যখন শোনা যাচ্ছে ‘হাম সব ইনসান হ্যায়’ (আমরা সবাই মানুষ), তখন স্ক্রিনে ইনসান (insaan) বানানটাই ভুল। লেখা রয়েছে ইনসেন (insane), যার অর্থ করলে দাঁড়ায় পাগল বা কাণ্ডজ্ঞানহীন। সঙ্গে এই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়োতে ব্যবহার করা হয়েছে আজব আজব ইমোজি। যা সেটাকে দুঃখের না করে হাস্যকর করে তুলেছে। একদম শেষেও হয়েছে ভুল। ভয়েসওভারে চাওয়া হচ্ছে ক্ষমা (‘kshama’-forgiveness) আর লেখা হল শমা (sama)।
আর এই ভুল দেখেই চোখ কপালে উঠেছে নেটপাড়ার। প্রশ্ন উঠেছে প্রায় চার বছর ধরে একটা বাজে ছবি বানানোর ধৈর্য যদি টিমের থাকে, তাহলে কেন প্রুফ চেক করার ধৈর্য নেই। তাঁদের পবিত্র উৎসবের দিনে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ দেখে রেগে আগুন জৈনরাও। তাঁরা ভিডিয়োটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে আমিরের প্রোডাকশন হাউসের তরফে ভিডিয়োটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
For all the latest entertainment News Click Here