ক্ষধার্ত শিল্পীকে নিয়ে কমলেশ্বরের নতুন ছবি ‘দ্য হাঙ্গার আর্টিস্ট’
অরুণাভ রাহারায়
কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘দ্য হাঙ্গার আর্টিস্ট’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে বাংলায়। জার্মান লেখক ফ্রান্ৎস কাফকার ‘এ গ্রেট হাঙ্গার’ গল্প নিয়েই কমলেশ্বরের এই নতুন ছবি। মুখ্য ভুমিকায় ঋত্বিক চক্রবর্তী– ছবিতে তাঁর নাম ভূতনাথ মালাকার। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বিশ্বনাথ বসু (ঘনা) এবং প্রিয়াঙ্গা মণ্ডল (সাংবাদিক)। এর আগে নানা চলচ্চিত্র উৎসব দেখানো হলেও গত ১১ এপ্রিল নন্দনে ছবিটি প্রথম দেখতে পায় বাংলার দর্শক। প্রীতম চৌধুরীর উপস্থাপনা ও ফ্যাটফিশ এন্টারটেইনমেন্টের প্রযোজনায় নির্মিত ২০ মিনিটের ছবিটি এখন দেখা যাচ্ছে ইউটিউবে।
১৯২২ সালে লেখা কাফকার ‘এ হাঙ্গার আর্টিস্ট’ গল্পটিকে ভাঙন আর অবক্ষয় ধরা সমাজের প্রেক্ষিতে আজও প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে পরিচালকের। ভূতনাথ মালাকার দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে পারেন। এবং নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙেন! বন্ধু ঘনার পরামর্শে খিদের জ্বালা সহ্য করাই হয়ে ওঠে তাঁর শিল্প। তৈরি হয় মঞ্চ। এসে পড়ে আলো এবং দর্শকের ভিড়। ভূতনাথকে ঘিরে ধরে সাংবাদিক। শিল্পের নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুম চলে যায় শিল্পীর। কিন্তু অবস্থানে অনড় ভূতনাথ। বিধবা মা টিফিন কৌটোয় নাড়ু নিয়ে এলেও উপোস ভাঙে না তাঁর। এরই মধ্যে শিল্পীর প্রেমে পড়েন একজন মর্মস্পর্শী সাংবাদিক
২০ দিন না খেয়ে থাকতে পারার বিশ্বরেকর্ড গড়েন ভূতনাথ। কিন্তু সমাজ ব্যবস্থার ভাঙনের মতোই যেন গল্পের ভেতরে ভাঙন ধরে। শুরু হয় শিল্পের অবক্ষয়। নিভে যায় চারপাশের আলো। তখন অন্য কোনও শিল্পের মঞ্চে হয়তো-বা সেইসব আলোর ভিড়। শোয়ের মঞ্চে ঘড়ির কাঁটা ও ডিজিটাল ঘড়ির সময় একসঙ্গে এগিয়ে চলে কিন্তু থেমে যায় শিল্পীর পাগলামো। এভাবেই যেন শেষ হয় ছবিটি।
For all the latest entertainment News Click Here