ক্রিকেটই ওকে থাপ্পড় মারবে- ধীর গতির ব্যাটিংয়ের জন্য শুভমনকে ধুইয়ে দিলেন সেহওয়াগ
ওপেনার শুভমন গিলের হাফসেঞ্চুরির হাত ধরে বৃহস্পতিবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্স জয়ের ভিত মজবুত করে। তবু শুভমনকে তীব্র সমালোচনায় ভরিয়ে দেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ব্যাটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ।
মোহালির আইএস বিন্দ্রা পিসিএ স্টেডিয়ামে ২০২৩ আইপিএলের ১৮তম ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারায় গুজরাট টাইটান্স। শুভমনের হাফসেঞ্চুরি ছাড়াও ফাস্ট বোলার মোহিত শর্মা ৩ বছর বাদে প্রত্যাবর্তন করে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। পঞ্জাব প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৩ রান করে। এর পর শুভমন গিল ৪৯ বলে ৬৭ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। এবং রাহুল তেওয়াটিয়া ১ বল বাকি থাকতেই দলকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল সাত রান এবং ক্রিজে ছিলেন শুভমন গিল। ওভারের দ্বিতীয় বলে সাম কারান বোল্ড করেন শুভমনকে। অফ স্টাম্প পুরো উপড়ে যায়। এতে ম্যাচে আকস্মিক রোমাঞ্চ তৈরি হয়। তবে পঞ্চম বলে চার মেরে দলকে জয় এনে দেন রাহুল তেওয়াটিয়া।
আরও পড়ুন: PBKS-কে হারিয়ে লিগ টেবলের তিনে উঠলেও, কড়কড়ে ১২ লাখ জরিমানা দিতে হবে GT অধিনায়ক হার্দিককে
এই জয়ের পর গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া বলেছেন যে, এই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। কারণ এই ম্যাচটি এতটা টানা উচিত হয়নি। হার্দিকের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন সেহওয়াগ। তিনি আবার শুভমন গিলের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের তীব্র সমালোচনা করেন। গিলের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বীরু।
গিলের ধীরগতির ব্যাটিংকে কটাক্ষ করে সেহওয়াগ ক্রিকবাজকে বলেন, ‘৪৯ বলে গিল ৬৭ রান করেছে। তবে ফিফটি করতে কত বল নিয়েছে? ৪১-৪২ বল নিয়েছে হাফসেঞ্চুরি করতে। তার পর ৭-৮ বলে ১৭-১৮ রান করেছে। হাফসেঞ্চুরি করার পরেই ও রান তোলার গতি বাড়িয়েছিল। যদি সেটাও না ঘটত, তা হলে গুজরাটকে হয়তো শেষ ওভারে ৭ রানের বদলে ১৭ চেজ করতে হত।’
আরও পড়ুন: একে একে ছিটকে যাচ্ছে তারকা পেসাররা, ক্রমশই কোণঠাসা হচ্ছে ধোনির CSK
সেহওয়াগ আরও বলেছেন, ‘আমাকে ফিফটি করতে দাও, তার পর আমি তোমাদের ম্যাচ জিতিয়ে দেব, এ রকম ব্যাটিং মানসিকতা মোটেই ভালো নয়। এটা ক্রিকেট। যখনই তুমি নিজের ব্যক্তিগত কীর্তির কথা ভাববে, সেই সময়ে ক্রিকেটই তোমাকে থাপ্পড় মারবে। এ রকম ভাবনাই ভুল। যদি ও ২০০ স্ট্রাইক রেটের আশেপাশে ব্যাটিং করত, তা হলে আরও তাড়াতাড়ি ফিফটি করতে পারত। দলের হয়েও অনেক ডেলিভারি বাঁচাতে পারত।’
শুভমান গিল ৪০ বলে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যে রান করতে তিনি ৬টি চার মেরেছিলেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শুভমন গিলের ইনিংসই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া আউট হওয়ার পরে যখন দলের জয়ের জন্য ৩৪ বলে ৪৮ রান প্রয়োজন ছিল। তবে ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৬৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গিল। এরপর ১ বল বাকি থাকতে দলকে জয় এনে দেন রাহুল তেওয়াটিয়া। আইপিএলের ১৬তম আসরে এখনও পর্যন্ত শুভমন গিল ২টি দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
For all the latest Sports News Click Here