ক্যাচ ধরে উচ্ছ্বাসে মাতায় চটে লাল হয়ে যান এবি,IPL-এর অজানা কাহিনি শোনালেন স্টেইন
শুভব্রত মুখার্জি: ২০০৮ সালে প্রথমবার শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের পথ চলা। তার পর থেকে হয়ে গিয়েছে ১৫টি মরশুম। একাধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন সমর্থকেরা। প্রতিটি মরশুমেই রয়েছে একাধিক মজার কাহিনী। রয়েছে ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের ঘটনাও। এমন এক অজানা কাহিনী এ বার শোনালেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার ডেল স্টেইন। সমর্থকদের আদরের ‘স্টেনগান’কে নাকি এক বার একটু রেগেই প্রশ্ন করে বসেছিলেন তাঁর সতীর্থ এবি ডিভিলিয়ার্স! এবিডি-র ক্যাচ ধরার পরে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন ডেল। আর একটু রেগে গিয়েই সেই ‘উত্তেজনার’ কারণ জানতে চান এবিডি।
আরও পড়ুন: ধোনির শটে দু’টো আঙুল ভেঙে গিয়েছিল বোলারের, চাঞ্চল্যকর গল্প শোনালেন CSK প্রাক্তনী
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে এক আলাপচারিতায় দেখা গিয়েছে দুই প্রাক্তন সতীর্থ এবিডি এবং ডেলকে। স্টেইন বলেন, ‘এই ঘটনাটা দীর্ঘ দিন আগের এক ঘটনা। ২০১২ সালে ঘটেছিল এই ঘটনাটি। সেই সময়ে আমি ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলছিলাম। আমি ওই সময়ে বেশ দ্রুতগতিতে বোলিং করছিলাম। সেই সময়ে আমি সত্যিই ভেবেছিলাম, সব কিছু আমার মন মত হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে এগোচ্ছে, যেমনটা আমি চাই। আর সেই সময়ে আমার এই ভদ্রলোকের (এবিডি) সঙ্গে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সাক্ষাৎ হয়। দু’জনের মধ্যে লড়াইটা খুব বড় একটা লড়াই ছিল।’
স্টেইন আরও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ওই সময়ে ও (এবিডি) আমার উপর পারফরম্যান্সের বিচারে আধিপত্য বিস্তার করছিল। আমার যতদূর মনে পড়ছে, আমার একটি ওভারে ও (এবিডি) ২০-২৪ (২৩) রান নিয়েছিল। এর থেকে আরও দুই বছর এগিয়ে যান। এক ভেন্যু, এক ব্যাটসম্যান, এক প্রতিযোগিতায় আমাদের এই ‘রাইভ্যালরি’ চলছিল। আমার খেলাটার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ মনে নেই। ১৮ কি ১৯ ওভার চলছিল। সেই সময়ে মনে মনে বলেছিলাম, এ বার আমি ওর (এবিডির) উইকেটটা নেবই। এবিডি ডিপ মিড উইকেটের দিকে একটি শট খেলে। চিন্নাস্বামী খুব ছোট স্টেডিয়াম। সেখানে ডিপ মিড উইকেটে বল মারলে বড় রান করার সুযোগ থাকে। এক রান তো অনায়াসে নেওয়ার সুযোগ থাকে। ওখানে বল ধরতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় ফিল্ডারকে। এবিডি তখন দুই রান নেয়। আমি ওই ম্যাচে ওই ওভারে ২৩-২৪(২৪) রান দিয়ে ফেলি।’
আরও পড়ুন: মুকেশের চোট বড় ধাক্কা, স্টোকস-জাদেজারা শক্তি, কেমন হতে পারে CSK-র একাদশ?
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা ২০১৫-তে ফিরে যাই। তখন খেলা হচ্ছিল হায়দরাবাদে। আমি অবশ্য বোলিং করছিলাম না। বোলিং করছিল মোজেস হেনরিকস। এবিডি ব্যাট করতে আসে। আমি নিশ্চিত ওটা এবিডির ইনিংসের প্রথম বল ছিল সে দিন। বলটকে খুব জোড়ে মারে ও। আমি লং অনে ফিল্ডিং করছিলাম। আমি বলটার দিকে দৌড়ে যাই। বেশ ভালো একটা ক্যাচ লুফে নিই। আমি যদি ক্যাচটা ফেলে দিতাম তা হলে বলটা হয়তো ছয় হয়ে যেত। ক্যাচ লুফে আমি বলটা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উপরে ফের ছুঁড়ে দিই। এমন ভাবে উচ্ছাস প্রকাশ করছিলাম যেন মনে হয়েছিল বুঝি, আমিই বোলার। যে এই ব্যাটারকে (এবিডি ) আউট করেছে। আমার মনে আছে, ম্যাচ শেষে এবিডির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। এবিডি আমার উপর অসন্তুষ্ট ছিল। আমাকে প্রশ্ন করেছিল, আমি কী কারণে এই ক্যাচটা লুফে এতটা উত্তেজিত ছিলাম? আমার মনে আছে আমি বলেছিলান, সে রকম কিছু না, তুমি দেখ আমি তোমাকে আউট করতে সমর্থ হয়েছি। তোমাকে এটা মেনে নিতে হবে।’
For all the latest Sports News Click Here