‘কোনও মিউজিক ডিরেক্টরকে গিয়ে আমায় নেওয়ার কথা বলেনি’, অরিজিতকে নিয়ে বোন অমৃতা
এই মুহূর্তে সারা শুধু বলিউড নয়, গোটা ভারতের জনপ্রিয় গায়কদের তালিকায় একদম উপরের দিকে থাকবেন অরিজিৎ সিং। নিজের সুরেলা কন্ঠ দিয়ে আসমুদ্রহিমাচলের মনে রাজত্ব করছেন জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র। অরিজিৎ-এর সুরেলা গলায় মন্ত্রমুগ্ধ আট থেকে আশি। তবে জানেন কি অরিজিৎ-এর পরিবারের আরও এক রত্ন রয়েছে, গায়কের বোনও কম যান না। অরিজিৎ-এর মতোই সুগায়িকা তাঁর অমৃতা সিং মজুমদার।
বেশ কয়েক বছর মুম্বইয়ে কাটিয়েছেন অমৃতা। তবে বিয়ের পর এখন তিনি কলকাতার বাসিন্দা। দাদার সঙ্গে দেশে-বিদেশে নানান কনসার্টে পারফর্ম করেছেন। ‘গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর মঞ্চেও অরিজিতের পাশে দেখা গিয়েছে অমৃতাকে। সদ্যই ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের ‘বিসমিল্লাহ’ ছবিতে গেয়েছেন অমৃতা, দাদার সুরে বলিউডের ছবি ‘পাগলেট’-এ গান গেয়েছেন। যদিও অরিন্দমের হাত ধরে বাংলা প্লে-ব্যাকের দুনিয়ায় বছর চারেক আগেই পা রেখেছিলেন অমৃতা, ‘জেনারেশন আমি’ ছবিতে গান গেয়েছিলেন। দাদার জনপ্রিয়তা কি কোথাউ গিয়ে অমৃতার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এমন বিখ্যাত দাদার বোন হলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে সুবিধা হয়?
এক সাক্ষাৎকারে অমৃতা জানান, দাদার সুপারিশে তিনি কাজ করেননি, আর তেমনটা চান না। নিজের যোগ্যতায় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নিতে চান। এমনকী কোনওদিন কোনও মিউজিক ডিরেক্টরের সামনে বোনকে কাজ দেওয়ার কথা বলেননি অরিজিৎ। তবে অমৃতা মেনে নিলেন, ‘গান নিয়ে দাদার সঙ্গে কথা হয়, অনেক কিছু শিখি ওর থেকে’।
অরিজিৎ সিং-এর বোন হওয়ার সুবাদে কোনও সুবিধা? গায়িকার কথায়, ‘কিছু সুবিধা তো রয়েছে। কৌশিকী চক্রবর্তীর মতো শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তালিম নেওয়ার। দাদার জন্য গুণী মানুষদের সঙ্গ পেয়েছি। আর বাড়তি সুবিধা বলতে দাদার মতো কষ্ট আমাকে করতে হয়নি, আমার পথ অনেকটা মসৃণ।’ অরিজিতের মিউজিক্যাল সফল সহজ ছিল না। ‘ফেম গুরুকুল’-এ অংশ নেওয়ার পর মুম্বইয়ে বছরের পর বছর স্ট্রাগল করেছেন অরিজিৎ। অমৃতা জানালেন, প্রীতমের সহকারী হিসাবে কাজ করবার সময় রাতে শুধু ঘুমোতে বাড়ি আসতেন অরিজিৎ। দাদার সেই কষ্ট চাক্ষুস দেখেছেন তিনি।
শান্ত স্বভাবের ‘মাটির মানুষ’ অরিজিৎ। কিন্তু ক্যামেরা মোটে পছন্দ নয় তাঁর, তাই তো সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন না তেমন। ফ্যানেদের সঙ্গে খুব বেশি ছবির জন্য পোজ দেন তেমনটা নয়। বোনের সঙ্গে কখনও ‘দাদাগিরি’ করেন? অমৃতা স্পষ্ট জানান, লোকজন কোথাউ গেলেই যে মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে এগিয়ে আসেন সেটা পছন্দ নয় অরিজিতের। কিন্তু দাদাগিরি মোটেই করেন না। তবে হ্যাঁ, ভাই-বোনের সম্পর্ক যেমনটা হয়, গানে ভুল হলে ছোটবেলায় দাদার হাতে মার খেয়েছেন সোনামণি। বোনকে এই নামেই ডাকেন অরিজিৎ।
অরিজিতের একদিন জগত জোড়া নাম হবে, সেটা ছোট থেকেই বিশ্বাস ছিল অমৃতা ও তাঁর গোটা পরিবারের। দাদার মতোই রিয়ালিটি শো থেকে শুরু অমৃতার মিউজিক্যাল জার্নি। যদিও ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ বিচারকদের সামনে পৌঁছানোর আগেই বাদ পড়েন অরিজিতের বোন। ছোট থেকেই সঙ্গীতই অরিজিতের ধ্যানজ্ঞান। অমৃতার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। ছেলেবেলায় নাচের তালিম নিতেন তিনি, পরে গানের সাধনা শুরু করেন। ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ থেকে বাদ পড়বার পর গান নিয়ে আরও বেশি ‘ফোকাসড’ অমৃতা।
For all the latest entertainment News Click Here