‘কোনওদিন ওঁনার ভালোবাসা পাইনি,তবে…’, ঠাকুরদার জন্মবার্ষিকী, ভুল করে বসলেন হৃতিক!
ছবির চেয়ে বেশি আজকাল ব্য়ক্তিগত জীবনের জন্য চর্চায় রয়েছেন হৃতিক রোশন। হাঁটুর বয়সী সাবা আজাদের সঙ্গে নায়কের প্রেম নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। এর মাঝেই নিজের তরুণ ফ্যানেদের সঙ্গে তাঁর ঠাকুরদার পরিচয় করালেন হৃতিক। ‘ওয়ার’ তারকার গানের গলাও ফাটাফাটি একথা কারুর অজানা নয়। হৃতিকের সেই সুরেলা কন্ঠের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর জিন। হৃতিকের ঠাকুরদা রোশন লাল নাগরথ ছিলেন বলিউডের নামী সঙ্গীত পরিচালক। তাঁর নামকেই হৃতিকের পরিবার নিজেদের পদবি হিসাবে ব্য়বহার করে।
শুক্রবার ঠাকুরদার জন্মবার্ষিকীতে তাঁর একটি সাদা কালো ছবি শেয়ার করে নেন হৃতিক। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে সিনিয়র রোশনের কম্পোজ করা জনপ্রিয় গান ‘ওহ রে তাল মিলে নদী কে জল মে’। ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জীব কুমারের ছবি ‘আনোখি রাত’-এর জন্য এই গানটি তৈরি করেছিলেন হৃতিকের ঠাকুরদা। গেয়েছিলেন মুকেশ।
ঠাকুরদার কথা লিখতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হৃতিক। অভিনেতা লেখেন- ‘আজ আমার দাদুজি- রোশনের ১০৬তম জন্মবার্ষিকী। যাঁর নামই আমার পরিচয়। আমার সুযোগ হয়নি কখনও ওঁনাকে দেখার। সরসারি ওঁনার কাছ থেকে কিছু শেখার বা ওঁনার ভালোবাসা পাওয়ার , কিন্তু আমি আর্শীবাদধন্য, যে গুপ্তধন উনি রেখে গিয়েছেন- ওঁনার এই কাজের ভাণ্ডার, ওঁনার সঙ্গীত। কিংবদন্তিরা তো অমর তাঁদের শিল্পে। ওঁনার এই গানগুলোই রোশন পরিবারের ভিত, ওঁনার বংশধর হিসাবে আমি গর্বিত’।
মাত্র ৫০ বছর বয়সেই মৃত্যু হয়েছিল রোশনের। কিন্তু ‘দাদুজি’কে নিয়ে লিখতে বসে আবেগঘন হৃতিক তাঁর বয়স গুলিয়ে ফেললেন। অভিনেতা লেখেন- ‘দাদুজির উত্তরাধিকার সেলিব্রেট করছি, আমার পছন্দের ওঁনার এই গানের সঙ্গে। আমি এই গানটা আরও বেশি করি উদযাপন করতে চাই কারণ এর সাফল্য় উনি দেখে যেতে পারেননি। রেকর্ডিং-এর কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যান। ওঁনার বয়স ছিল মাত্র ৪০ বছর’। একথা ঠিক, ‘অনোখি রাত’ ছবির মুক্তির আগেই ১৯৬৭ সালে মারা গিয়েছিলেন রোশন লাল নাগরথ, তবে তখন তাঁর বয়স ছিল ৫০ বছর।
ফ্যানেরা অবশ্য হৃতিকের এই ‘ছোট্ট ভুল’ নিয়ে মাথা ঘামাতে না-রাজ। অভিনেতার ঠাকুরদার প্রশংসা করে তাঁরা লিখেছেন, ‘সঙ্গীত চিরকাল বেঁচে থাকে, উনিও নিজের সঙ্গীতের মধ্যেই জীবন্ত রয়েছেন’। অভিনেতা অনিল কাপুর, অনুপম খেররাও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পীকে।
রোশন লাল নাগরথের দুই পুত্র রাকেশ রোশন ও রাজেশ রোশন। বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করে সঙ্গীতকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন ছোট ছেলে রাজেশ। হৃতিকের বাবা, রাজেশ রোশন অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে, পরে প্রযোজনা ও পরিচালনার দিকে ঝোঁকেন।
প্রসঙ্গত, হৃতিকের শেষ ছবি ‘বিক্রম বেদা’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই ব্যর্থতা ভুলে নায়কের পাখির চোখ এখন ‘ফাইটার’। সিদ্ধার্থ আনন্দের এই ছবিতে প্রথমবার দীপিকা পাডু়কোনের সঙ্গে জুটিতে দেখা যাবে হৃতিককে।
For all the latest entertainment News Click Here