কেমোর পর মাঝরাতে আয়নায় নিজেকে দেখে শিউরে উঠেছিলেন ‘জিয়ন কাঠি’র ঐন্দ্রিলা!
প্রেমিকা সব্যসাচীর কাছে তিনি ‘ফিনিক্স’! তবে জীবনে আসা ঝড় হাসিমুখে মেনে নিয়ে লড়াই করে চলেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা সেই ছোট থেকেই। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়তেই একদিন জানতে পারেন তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। সেই থেকে লড়াই চলছে। ‘দিদি নম্বর ১’-র মঞ্চে ঐন্দ্রিলার বেশ পুরনো একটা ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁর লড়াকু মনোভাবকে স্যালুট জানিয়েছে নেটিজেনরা।
অভিনেত্রী অকপটে জানিয়েছেন, কেমো নেওয়ার পরে মাথার সব চুল পড়ে গিয়েছিল। বিকৃত হয়ে গিয়েছিল চোখ-মুখও। সেই অবস্থায় রাতে বাথরুমে গিয়েছেন তিনি। কেমোর জন্য মুখে জ্বালা করছিল। আরাম পেতে জলের ঝাপটা দেন। আর তারপর আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমিই যদি নিজেকে এত ভয় পাই, তা হলে বাইরের লোকেদের কী অবস্থা হয়েছিল?’
পেশায় বাবা ডাক্তার ও মা নার্সিং স্টাফ। দু’জনেই পরম আদর ও যত্নে মেয়েকে সারিয়ে তুলেছিলেন। ২০১৬-র জুলাই পর্যন্ত টানা চিকিৎসায় থাকার পর মারণরোগকে হারিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। তারপর পা রাখেন টলিউডে। ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিক দিয়ে সকলের মন জয় করে নেন। ভাইরাল হওয়া সেই ফেসবুক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ঐন্দ্রিলার কথা শুনে মন খারাপ হয়ে যায় সবার। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা সেট।
২০২০-তে দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। এবার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর ফুসফুসে। কিছুদিন আগেই হয়েছে অস্ত্রোপচার। এখন কেমোথেরাপি চলছে। পরদার বামাখ্যাপা তথা প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী এখন সব সময় সঙ্গে দেন তাঁর। উৎসহা দেন। গল্প শোনেন। ফের একবার লড়াইয়ে সামিল তিনি। যদিও সব্যসাচীর বিশ্বাস ‘ছাই থেকে যেমন ফিনিক্স পাখি উঠে আসে, সেইভাবে ঐন্দ্রিলা ফিরবেন তাঁর কর্মক্ষেত্রে।’
For all the latest entertainment News Click Here