কী ভাবে করলাম জানি না- RCB বোলারদের ছাতু করার পরেও ঘোর কাটেনি KKR-এর ‘লর্ডে’র
তখন ৮৯ রান। পড়ে গিয়েছিল ৫ উইকেট। নিজের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম বলেই শূন্যতে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। সেই সময়ে কেউই হয়তো ভাবেননি, শেষ পর্যন্ত দু’শোর গণ্ডি টপকাবে কলকাতা। কিন্তু সব ভাবনা এলোমেলো করে দিলেন স্বয়ং ‘লর্ড’। তিনি নামতেই বদলে গেল ম্যাচের রং। সাতে ব্যাট করতে নেমে ২৯ বলে ৬৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন শার্দুল ঠাকুর। সেই সঙ্গে কেকেআর-ও দু’শো রানের গণ্ডি টপকে যায়। আর সেটাই চাপে ফেলে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তারা পুরো ল্যাজেগোবরে হয়ে ৮১ রানে ম্যাচটি হেরে যায়।
পেসার, স্পিনার কাউকে রেয়াত এ দিন করেননি শার্দুল। মাঠের চার দিকে শট খেলেন। হাওয়ায় শট মারার পাশাপাশি মাটি ঘেঁষা ক্রিকেটীয় শটও খেলেন তিনি। মাত্র ২০ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ৬৮ রানের ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৪-৩-৬-৪-৬-০- সাউদিকে পিটিয়ে ছাতু করলেন কোহলি-ফ্যাফ, ১ ওভারেই ২৩ রান হজম কলকাতার
ম্যাচের পর শার্দুল বলছিলেন, ‘আমি জানি না, কী ভাবে আমি এটা করেছি। স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে সবাই নিশ্চয়ই ভাবছিল যে, আমরা কঠিন লড়াই করছি। আপনার অবচেতন মনে ছিল, পারতেই হবে। এই স্তরে পারফর্ম করার দক্ষতা থাকতে হবে। তবে আমরা নেটেও কঠোর পরিশ্রম করি। একটা সময় আছে, যেখানে আমরা এটাকে নেটে স্লগ করতে পারি। কোচিং স্টাফেরা থ্রোডাউন করে, এবং আমাদের রেঞ্জ-হিট করার বিকল্প দেয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘পিচ ব্যাটসম্যানদের খেলার জন্য আদর্শ ছিল। সুয়াশের দুর্দান্ত বোলিং। আমরা সুনীল (নারিন) এবং বরুণ (চক্রবর্তী) এর গুণ সম্পর্কে জানি। ওরা উপভোগ করে খেলেছে, উইকেট নিয়েছে। এটি একটি নিখুঁত দিন ছিল।’
আরও পড়ুন: RCB-র হয়ে ইডেনে খেললেন বাংলার দুই তারকা, কলকাতার দলে ব্রাত্য অভিমন্যুরা
বৃহস্পতিবার অরসিবি-র বিরুদ্ধে এই ইনিংস খেলে জোড়া নজির গড়েছেন শার্দুুল। আইপিএলে ৭ নম্বর বা তার নীচে ব্যাট করতে নেমে, তৃতীয় সর্বাধিক রান করেন তিনি। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কলকাতারই আন্দ্রে রাসেল। ২০১৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চেন্নাইয়ের ডোয়েন ব্র্যাভো। ২০১৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৬৮ রান করেছিলেন ব্র্যাভো।
আইপিএলে ষষ্ঠ উইকেট বা তার নীচে সব থেকে বেশি রানের জুটির তালিকাতেও তিন নম্বরে রয়েছেন শার্দুল ও রিঙ্কু। তাঁরা ষষ্ঠ উইকেটে ১০৩ রান করে। ২০১২ সালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের অম্বাতি রায়ডু ও কায়রন পোলার্ড জুটি করেছিলেন ১২২ রানের। তাঁরাই শীর্ষে রয়েছেন। ২০০৮ সালে কেকেআরের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংসের ডেভিড হাসি ও ঋদ্ধিমান সাহা মিলে ১০৪ রান করেছিলেন। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শার্দুলরা।
For all the latest Sports News Click Here