‘কিছু শূন্যস্থান কখনো পূরণ হয় না’, ঋতুপর্ণর প্রয়াণ দিবসে আবেগঘন প্রসেনজিৎ
ঋতু আসে, ঋতু যায়, ঋতু বদলায়। তবে ঋতুপর্ণ ঘোষ বাঙালির জীবনে, বাঙালির মননে চিরন্তন জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। আজ আরও একটা ৩০মে। আজ থেকে ঠিক ৯ বছর আগে বাংলা চলচ্চিত্র হারিয়েছিল তার ‘হীরের আংটি’। না ফেরার দেশে পারি দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। সত্যজিত পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের দুনিয়ার সবচেয়ে চর্চিত পরিচালক ঋতুপর্ণ। ‘দোসর’ পরিচালকের মৃত্যুটা আজও মেনে নিতে পারেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পেশাদার সম্পর্কের বাইরে ঋতুপর্ণ ছিলেন বুম্বাদার প্রাণের বন্ধু, তাই তো এই দিনটায় বড্ড বেশি একা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। পরিচালকের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘চোখের বালি’ তারকা ডুব দিলেন স্মৃতির পাতায়।
এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে ঋতুপর্ণের উদ্দেশে একটি আবেগঘন পোস্ট লেখেন বুম্বাদা। হাসিমাখা মুহূর্তের একটি লেন্সবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করে লেখেন, ‘কিছু শূন্যস্থান কখনো পূরণ হয় না… ভালো থাকিস ঋতু।’
উনেশে এপ্রিলের সুবাদেই বন্ধুত্বটা গাঢ় হয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণ ঘোষের। বাঙালির চেনা পরিচিত সুপারস্টারকে অন্যরকম চরিত্রে খুঁজে পাওয়ার সেই শুরু। সমালোচকদের মতে, অভিনেতা প্রসেনজিতের উত্তরণের যাত্রাপথটা অনেকাংশেই ঋতুপর্ণ কেন্দ্রিক। সেই কথাই আজ ধরা পড়ল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টেও। উনেশ এপ্রিল পর ঋতুপর্ণ ঘোষের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন বুম্বাদা- উত্সব, চোখের বালি, দোসর, খেলা, সব চরিত্র কাল্পনিক, নৌকাডুবি। বলা যায় চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় একে অপরের ‘দোসর’ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণ। অভিনেতা নিজের মুখে ঋতুপর্ণকে স্মরণ করে বলেছেন, ‘তোর হাত ধরেই তো মানুষ আমায় নতুন করে চিনলো। তুই তো আমার অনিয়মের ঋতু, নিয়মের ঋতু’।
সত্যিতো ঋতু কি হারিয়ে যায়? না, ঋতু হারায় না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবল প্রকৃতির রঙ বদলাতে থাকে। ঠিক তেমনভাবেই বাংলা চলচ্চিত্রের এই ঋতুও চিরন্তন।
For all the latest entertainment News Click Here