‘কাল বলতে আসলে বোঝানো হয়েছিল…’ ওপেনহাইমারকে নিয়ে কী লিখলেন জয়রাম রমেশ

ওপেনহাইমার গত ২১ জুলাই মুক্তি পেল। প্রথমদিনই বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে এই ছবি। এবার এই ছবিকে নিয়ে বলা ভালো ওপেনহাইমারের যে সংস্কৃতর প্রতি ভালো লাগা ছিল, ভগবৎ গীতাকে যে তিনি এত মেনে চলতেন সেই প্রসঙ্গে কথা বললেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।

তিনি এদিন টুইটারে ওপেনহাইমারকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘জে রবার্ট ওপেনহাইমার, অর্থাৎ যাঁকে আমরা সকলেই পরমাণু বোমার জনক বলে জানি বা চিনি সেই ব্যক্তি যখন প্রথমবার ১৬ জুলাই ১৯৪৫ সালে নিজের বানানো এই মারণ অস্ত্রের বিস্ফোরণ দেখেছিল নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে তখন সেই ঘটনা তাঁকে এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে তিনি তখন গীতার শ্লোক মনে করে নিজেকে মৃত্যুর সমরূপ বা এই পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।’

এরপর জয়রাম রমেশ ব্যাখ্যা করে আরও লেখেন, ‘এটা আসলে গীতার ১১ তম চ্যাপ্টারের ৩২ তম লাইনে আছে। সেখানে থাকা কাল শব্দকে ওপেনহাইমার মৃত্যু মনে করেছিলেন। এটার দোষ অবশ্য তাঁর নয়। তিনি ১৯৩০ সালে সংস্কৃত পরেছিলেন আর্থার রাইডারের কাছে। তিনিই ১৯২৯ সালে গীতার ট্রান্সলেশন করেছিলেন। আর সেই ট্রান্সলেশনে তিনি এই কাল শব্দটিকে মৃত্যু বলে ব্যাখ্যা করেন যা কিনা আদতে সময় বা আত্মাকে বোঝানো হয়েছিল।’

তিনি এরপর তাঁর পোস্টে হোমি ভাবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। লেখেন, ‘বখতিয়ার দাদাভাই সম্প্রতি হোমি ভাবার বায়োগ্রাফিতে জানিয়েছেন ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে যখন কমিউনিস্ট মনোভাবের জন্য ওপেনহাইমারের উপর লাগাতার হামলা চলছিল তখন ভাবা নেহরুর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দেশে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। যদিও এটার কোনও লিখিত প্রমাণ নেই। তবে ১৯৫১ তিনি বার্নার্ড পিটার্স অর্থাৎ যিনি ১৯৪৯ সালে ওপেনহাইমারের কারণে আমেরিকান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তাঁকে কিন্তু ভাবা দেশে আমন্ত্রণ জানান TIFR-এ। এই পিটার্স কিন্তু TIFR-এ থাকাকালীন একাধিক জরুরি বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেছিলেন কসমিক রে এবং পরমাণুর উপর। তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কারও দেওয়া হয় ১৯৮৫ সালে।’

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.