কার মতো দেখতে হয়েছে রাহাকে? একরত্তি মেয়ের চেহারা নিয়ে মুখ খুললেন রণবীর
পিতৃত্বের স্বাদ চেটেপুটে নিতে ব্যস্ত অভিনেতা রণবীর কাপুর। গত বছর নভেম্বরেই রণবীর-আলিয়ার কোল আলো করে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। এই মুহূর্তে ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’-এর প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা। প্রচারের ফাঁকে বারবার উঠে আসছে রাহার কথা। দিন কয়েক আগেই কলকাতায় এসে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, এখন তিনি মেয়েকে ঢেঁকুর তোলানোয় এক্সপার্ট। আর পাঁচজন সাধারণ বাবার মতোই রাহার যাবতীয় কাজ নিজের হাতে করতে ভালোবাসেন রণবীর।
‘রালিয়া’ কন্যাকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই! অথচ মিঁয়া-বিবি স্পষ্ট জানিয়েছেন তিন বছর না হলে মেয়ের মুখ প্রকাশ্যে আনবেন না তাঁরা। এর মাঝেই রণবীর ফাঁস করলেন কার মতো দেখতে হয়েছে মেয়ে। কপিল শর্মার শো-তে হাজির ছিলেন রণবীর-শ্রদ্ধারা। সেখানেই রণবীরের সামনে কপিল প্রশ্ন রাখেন, প্রতিবেশি আন্টিরা বা পরিবারের এমন কোন সদস্যরা আছেন যাঁরা আলিয়াকে প্রশ্ন করেন রাহাকে কার মতো দেখতে হয়েছে?
এমন প্রশ্ন শুনে হাসি মুখে রণবীর জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, একদম রয়েছে। মাঝেমধ্যে তো আমরাও কনফিউজড হয়ে যাই যে আমার মতো দেখতে রাহাকে না আলিয়ার মতো, তবে শান্তির কথা একটাই যে আর যাই হোক আমাদের দুজনের মতোই দেখতে হয়েছে’।
দীর্ঘ পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করবার পর গত বছর এপ্রিলে ঘরোয়া আয়োজনে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন রণবীর আলিয়া। বিয়ের দেড় মাসের মাথাতেই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানান আলিয়া। ভরা প্রেগন্যান্সিতেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’এর প্রচার সেরেছেন অভিনেত্রী। এরপর ৬ই নভেম্বর জন্ম হয় রাহার। আজকাল মেয়েকে ছেড়ে কাজে বেরোতেই ইচ্ছা করে না রণবীরের, সম্প্রতি সে কথাও ফাঁস করেছেন রণবীর। মেয়ের বয়স এখন সবে তিন মাস,’প্রতি মুহূর্তেই এখন কিছু না কিছু শিখছি’, জানিয়েছেন রাহার বাবা।
মাত্র দু সপ্তাহ আগেই রাহা হাসতে শিখেছে। আর সেটা নিয়েই এখন কাপুর পরিবার মেতে আছে। কলকাতায় এসে রণবীরকে বলতে শোনা গিয়েছে ‘বাবা হওয়ার এই যে অনুভূতি, এটা অপূর্ব। মেয়ের মুখের হাসি দেখার জন্য মুখিয়ে থাকি। আজ কলকাতায় আসার আগে ওকে ২০ মিনিট কাছে পেয়েছিলাম। মন ভরে গেল যেন আমার। আসলে মাত্র তিনমাস হয়েছে যে বাবা হয়েছি। তাও এখনও অনেক কিছু জানার, বোঝার বাকি আছে। বাবা হওয়াটা না একটা আশীর্বাদের মতো।’
আরও পড়ুন- ঐশ্বর্যর পিছনে বউমাকে নিয়ে নিন্দেমন্দ করেন জয়া? মুখ খুললেন অ্যাশের শাশুড়ি
For all the latest entertainment News Click Here