কাতার বিশ্বকাপ খেলা অজি স্ট্রাইকারের সঙ্গে চুক্তি পাকা করার পথে মোহনবাগান
২০২২-২৩ আইএসএল চ্যাম্পিয়ন টিম মোহনবাগান ধীরে ধীরে নিজেদের দল গোছাতে শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, তারা পরের মরশুমের জন্য অস্ট্রেলিয়ার এক বিশ্বকাপারকে আনতে চলেছে। শোনা যাচ্ছে, সবুজ মেরুন শিবিরে নাকি নাম লেখাতে পারেন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার জেসন কামিংস।
কামিংসের সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কামিংসের এজেন্টের সঙ্গে বাগান কর্তাদের বেশ কয়েক বার কথাবার্তা হয়েছে। এখনও চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। তবে কথাবার্তা ইতিবাচকই রয়েছে।
গত বছর কোনও পজিটিভ স্ট্রাইকার ছিল না দলে। যার জেরে মোহনবাগানকে বেশ ভালো ভাবেই ভুগতে হয়েছিল। তবে উইথড্রল হিসেবে খেলা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে সই করানো হয়েছিল। মরশুম শেষে ১১ গোল করে আইএসএল-এর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছেন অজি স্ট্রাইকার। এ বার অবশ্য কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে, ভালো মানের স্ট্র্রাইকার আনতে চলেছেন মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের প্লেয়ারকে কনুইয়ের গুঁতো, নির্বাসিত লাইন্সম্যান, তোলপাড় ইংলিশ ফুটবল
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেললেও, কামিংস আসলে স্কটিশ। এডিনবরায় তাঁর জন্ম। ফুটবলের হাতেখড়িও স্কটল্যান্ডে। অনুর্ধ্ব-১৯, অনুর্ধ্ব-২১ দলে খেলার পাশাপাশি স্কটল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন এক বছর। নটিংহ্যাম ফরেস্ট, রেঞ্জার্স, ডান্ডির মত বিখ্যাত স্কটিশ ক্লাবে তিনি খেলেছেন।
আরও পড়ুন: ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫ ধাপ লাফ মারলেন সুনীলরা, ব্রাজিলকে পিছনে ঠেলে শীর্ষে মেসিরা
কামিংসের মা অস্ট্রেলিয়ান। তাঁর মায়ের সূত্রে স্কটল্যান্ড-এর সঙ্গেই কামিংসের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। ২০১৯-এ কামিংস হঠাৎ করেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২-এ কামিংস অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে নির্বাচিত হন। কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ান স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। ফ্রান্সের বিপক্ষে প্ৰথম ম্যাচেই পরিবর্ত হিসাবে ৫৬ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন।
বর্তমানে কামিংস খেলেন ‘এ’ লিগের সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স-এর হয়ে। অজি মেরিনার্স শিবির ছেড়ে তিনি এবার নাম লেখাতে চলেছেন ভারতের মেরিনার্সের হয়ে। গত সিজনে সেন্ট্রাল কোস্টের হয়ে ২৬ গোল করে লিগের অন্যতম সেরা স্কোরারও হয়েছিলেন তিনি। ২৮ বছরের তারকা স্কটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগে ১১৬ গোল করে ফেলেছেন।
For all the latest Sports News Click Here