কাজ করতে ডাকা হল, ‘অপমান’ করে তাড়ানো হল— বনশালি নিয়ে তোপ কলকাতার সাংবাদিকের

কয়েক মাস আগের কথা। সদ্য বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ‘গঙ্গুবাই’। তখন এক সাংবাদিকের টুইট রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে যায়। মণীশ গায়েকোয়াড়। জন্ম মুম্বইয়ের কামাঠিপুরায়। যে কামাঠিপুরার গল্পই সঞ্জয় লীলা বনশালি ধরেছেন তাঁর ‘গঙ্গুবাই’ ছবিতে।

‘গঙ্গুবাই’ ছবিতে আলিয়া ভাটের চেহারা আর তাঁর মা রেখাবাইয়ের সাযুজ্যের উদাহরণ দিয়ে মণীশ বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী তাঁর টুইট পরে শেয়ার করেন আলিয়া ভাটও। তার পরেই ডাক আসে মুম্বই থেকে।

সঞ্জয় লীলা বনশালির সহকারি তাঁকে জানান, পরিচালক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। মণীশের কথায়, নিজের টাকা খরচ করেই মুম্বইয়ে হাজির হন তিনি। দেখা করেন সঞ্জয়ের সঙ্গে। তাঁর এই গোটা অভিজ্ঞতার কথাই তিনি এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে লিখেছেন।

লেখার শেষ দিকে গিয়ে মণীশ জানিয়েছেন, কীভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই সঞ্জয় ছিলেন তাঁর ‘গুরু’। বই লেখক, সাংবাদিক এবং চিত্রনাট্যকার মণীশ বার বার অনুপ্রাণিত হয়েছেন সঞ্জয়ের কাজ দেখে। বার বার বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ মানুষ তাঁকে মনে করিয়েছেন, তিনি যে চিত্রনাট্য বা কাহিনি লিখছেন, তা শুধুমাত্র বনশালির পক্ষেই বানানো সম্ভব। এভাবেই মনে মনে কখনও তাঁকেই ‘গুরু’ বলে ভাবতে শুরু করেন মণীশ। কিন্তু সেই সূত্রেই তাঁর উক্তি, ‘গুরুর সঙ্গে কাজ করতে নেই, ভক্তি ছুটে যেতে পারে।’

কী হয়েছিল মণীশের সঙ্গে? তাঁর কথায়, মুম্বইয়ে হাজির হওয়ার পরে তিনি সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা ভালোভাবেই এগিয়েছিল। সঞ্জয়ের ভালো লাগে তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিজের দলে নিয়ে নেন তিনি। বনশালির অফিস থেকে জানানোও হয়, মণীশকে ভালো লেগেছে পরিচালকের।

কিন্তু সেই ‘ভালো’ পর্যায় দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এর পরে একসঙ্গে কাজ শুরু করেন তাঁরা। মণীশের কথায়, লেখকগোষ্ঠীর মধ্যে নেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি যাই বলতেন, সেই কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হত না। এমনকী তাঁকে রীতিমতো ‘অপমান’ এবং হেনস্থাও করা হয়। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনাও শেষ হয়। 

মণীশ জানিয়েছেন, একদিন সঞ্জয়ের অফিস থেকে তাঁকে ফোন করে বলা হয়, বিষয়টি ঠিকঠাক এগোচ্ছে না। তাঁকে সঞ্জয়ের বাড়ি গিয়ে একপ্রকার ক্ষমা চাইতেও বলা হয়। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। তাঁর কথায়, গোটাটার উদ্দেশ্যই ছিল সঞ্জয়ের আত্মতুষ্টী এবং অহংকে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া। সেই কাজই তিনি পেরে ওঠেননি। 

কামাঠিপুরায় জন্ম। ছোটবেলাও কেটেছে সেখানে। রূপোপজীবিনী মা রেখাবাইয়ের সঙ্গে ছোটবেলাতেই কলকাতার বউবাজারে চলে আসেন মণীশ। শুরু করেন পড়াশোনা। তার পরে এক সময়ে পেশা হিসাবে বেছে নেন লেখালিখিকে। পুরোদস্তুর সাংবাদিক হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু সিরিজের চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। তার পাশাপাশি ভারতে সমকামী পুরুষদের সামাজিক অবস্থান নিয়েও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত মণীশ।

সঞ্জয় লীলা বনশালির সঙ্গে এই অভিজ্ঞতার কথা মণীশ লেখার পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এমন কথাও অনেকে বলেছেন, সঞ্জয় নাকি তাঁর দলের সদস্যদের অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। কিন্তু তাঁরা ভয়ের চোটে বলতে পারেন না। মণীশের প্রতি তাঁরা সমবেদনা জানিয়েছেন। 

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.