‘কাছের মানুষ পুজোর ছবি ছিল না, দেবকে বলেছিলাম’, পরপর ব্যর্থতা; সাফাই প্রসেনজিতের
বাংলা নববর্ষে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বাঙালি দর্শককে উপহার দিচ্ছেন ‘শেষ পাতা’। ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘রবিবার’-এর পর পরিচালক অতনু ঘোষের সঙ্গে তিন নম্বরবার গাঁটছড়া বেঁধেছেন টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’। অন্যদিকে ‘জুবিলি’র সঙ্গে মায়ানগরী মাতাচ্ছেন বুম্বাদা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ। আমাজন প্রাইম ভিডিয়োর সিরিজের প্রথম পাঁচ পর্ব মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। পরিচালক-প্রযোজক শ্রীকান্ত রায় হিসাবে দর্শকদের নজর কেড়েছেন এই বাঙালি অভিনেতা।
প্রায় একই সময়ে দুই ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে দুটো কাজ। দুটি’তে একদম পৃথক অবতারে বুম্বাদা। শ্রীকান্ত রায় চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকের গ্ল্যামারাস তারকা। অন্যদিকে খ্যাপাটে, ব্যর্থ লেখক ‘শেষ পাতা’র বাল্মিকী। মুখ ভর্তি সাদা দাড়ি, মাথার কাঁচাপাকা চুলের মধ্যিখান দিয়ে উঁকি দিচ্ছে টাক, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা- এ এক অচেনা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, ‘দুটো চরিত্রের মধ্যে একটাই মিল দুজনেই শিল্পী। একজন পরিচালক-প্রযোজক (শ্রীকান্ত রায়), অন্যজন লেখক (বাল্মিকী)। আমি যখন ‘মনের মানুষ’ করেছিলাম তার চার দিনের মধ্যে ‘অটোগ্রাফ’-এর শ্যুটিং শুরু করি। একটি চরিত্র ত্যাগী, অন্যটা ভোগী। আবার সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।…. শ্রীকান্ত রায়কে দর্শক পছন্দ করেছেন, আশা করছি বাল্মিকী চরিত্রটাও তাঁদের ভালো লাগবে’।
ষাটোর্ধ প্রসেনজিৎ ফিটনেস আর গ্ল্যামারের মামলায় টেক্কা দেন নবাগত হিরোদের। বাল্মিকীর চরিত্রে তাঁর ঝলক দেখেই শিউরে উঠেছেন দর্শক। আন্দনবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টলি তারকা জানালেন, ‘অভিনেতা হিসাবে নিজেকে দুটো জায়গাতেই দাঁড় করাতে হবে। যেখানে গ্ল্যামারাস দেখানোর সেখানে তা তুলে ধরতে হবে, আবার এটাও দেখাতে হবে উল্টোটাও পারি। সৌন্দর্যের খোলস ছেড়ে বেরোনোটা আমার কাছে জরুরি, কারণ জিনগতভাবে আমি সুন্দর। আমার বাবা-মায়ের ‘দোষ’ যাকে অস্বীকার করতে পারব না’।
বক্স অফিসের নিরিখে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের শেষ চারটি ছবি চলেনি। ‘রবিবার’, ‘আয় খুকু আয়’, ‘কাছের মানুষ’ এবং ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ সেভাবে টাকা কামাতে ব্যর্থ। এই নিয়ে কী মতামত নায়কের? অভিনেতার কথায়, ‘পুজোয় হাউজফুল বোর্ড লাগিয়ে দেব। কাছের মানুষ খুব ভালো ছবি, তবে ওটা পুজোর ছবি ছিল না। আমি দেবকে বলেওছিলাম। আয় খুকু আয় টিভিতে দারুণ রেটিং পেয়েছে। কিন্তু দর্শক কোথাউ গিয়ে হয়ত যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেনি। সেটা আমার টেকো চেহারাও হতে পারে’।
তবে বক্স অফিসের নম্বর গেম নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন প্রসেনজিৎ। তাঁর কথায়, ‘ময়ূরাক্ষী, রবিবার, শঙ্খচিল-এর মতো ছবি বক্স অফিসের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয় না। যে ছবি বক্স অফিস হিটের কথা ভেবে তৈরি তা না-চললে খারাপ লাগে। কিছু কাজ তো এমনও করতে হবে, যাতে ২০ বছর পর যখন আমাকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে তখন বলা যায় লোকটা এই কাজটা দারুণ করেছে’।
‘শেষ পাতা’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও লিড রোলে দেখা মিলবে গার্গী রায়চৌধুরী, বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায় এবং রায়তী ভট্টাচার্য।
For all the latest entertainment News Click Here