‘কাউকে আটকে রাখা হয়নি’, প্রতিবাদ লোপামুদ্রা-ইমনের, সাফাই কাঁথির শোয়ের আয়োজকের
দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন একদল মিউজিশিয়ান। অভিনেত্রী সেখানে না পৌঁছলে তাঁদের আটকে রাখা হয় বলে দাবি করা হয়। জানানো হয় তাঁদের বাদ্য যন্ত্রগুলো পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছেন দাবি করা হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। তাঁদের নাকি ৩ এপ্রিল থেকে টানা বেশ কয়েক দিন আটকে রাখা হয়। প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন ইমন চক্রবর্তী, জয় সরকার, লোপামুদ্রা মিত্র, প্রমুখ। তাঁরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেন যেন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে এঁদের ছাড়িয়ে আনা হয়। পুলিশের নেতৃত্বে অবশেষে তাঁদের মুক্ত করা হয় কদিন আগে।
ইমন তাঁর ফেসবুক লাইভে এক ব্যক্তির নাম করেছিলেন। সেই ব্যক্তির নাম ছিল মানবেন্দ্র মণ্ডল। এই ব্যক্তি আদতে পেশায় শিক্ষক হলেও তিনি এই শোয়ের আয়োজক ছিলেন। এবার সেই মানবেন্দ্র মণ্ডল গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন। বললেন এজেন্ট এই সবের নেপথ্যে আছেন।
মানবেন্দ্র মণ্ডলের কথা অনুযায়ী, ‘এক এজেন্টের মারফত আমরা দুই নামকরা শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সেই দুই শিল্পী তাঁদের ব্যান্ড পাঠালেও নিজেরা আসেন না। যখন জনতা বুঝে যায় যে শিল্পীরা আসছেন না তখনই অনেকে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ লাইট ভাঙচুর করেন।’ তিনি গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমাদের আয়োজকরা মহিলা শিল্পীদের যথাযথ আপ্যায়ন করেন। আমি নিজে তাঁদের বলেছিলাম চলে যেতে। শুধু বলেছিলাম বাদ্যযন্ত্রগুলো রেখে যেতে। শিল্পীরা অগ্রিম টাকা ফেরত দিলে এগুলো ফেরত দিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছিলাম। বিকেলের পর ওঁরা কাঁথিতে ফিরে যান।’
তাঁর গলায় এদিন আক্ষেপের সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘এর আগে আমাদের ক্লাবে দেব, প্রসেনজিৎ এসেছে, কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। আমাদের কোনও শিল্পীর উপর রাগ নেই। কিন্তু একটাই বক্তব্য আমাদের টাকার কি দাম নেই?’ তিনি এজেন্টকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এজেন্টের ভূমিকা একদমই ঠিক নয়। উনি নাকি এক শিল্পীকে টাকা পয়সা দেননি। যদিও জানি না কতটা সত্যি সেটা।’
তিনি ঘটনার সাফাই দিয়ে আরও বলেন, ‘আমি এই অনুষ্ঠানের সভাপতি হলেও অনুষ্ঠানের সঙ্গে এবার তেমন ভাবে যুক্ত ছিলাম না অসুস্থ থাকার দরুন। এক শিল্পী নাকি এসে এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। আমি পরে অশান্তির খবর শুনে গিয়েছিলাম। আমি নিজে একজন শিক্ষক, কোনও শিল্পীকে কী করে হেনস্থা করব?’
For all the latest entertainment News Click Here