‘কাঁধের চোট সারিয়ে দ্বিতীয় কিপার হিসেবে যখন দলে ফিরলাম, তখন থেকেই ইঙ্গিত পাচ্ছিলাম’: ঋদ্ধি
গত দু’দিন ধরে ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে নানা বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। বিশেষ করে বাংলার হয়ে তাঁর রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্তের পর এই বিতর্ক তীব্র আকার নেয়। জানা যায়, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে নাকি ঋদ্ধিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩৭ বছর বয়স হওয়ার জন্য তাঁকে আর টেস্ট দলে রাখা সম্ভব হবে না। অথচ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টে দুরন্ত লড়াই করেছিলেন ঋদ্ধি। তবে পারফরম্যান্স ভালো হওয়ার পরেও, বয়সকে অজুহাত করে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ঋদ্ধি নিজে কী বলছেন? কী ভাবছেন এখন তিনি?
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমান সাহা মনের কথা উজাড় করে দিলেন।
প্রশ্ন: ঠিক কী ঘটেছে? হঠাৎ করেই জীবনে নতুন বিতর্ক?
ঋদ্ধি: সত্যি কথা বলতে আমি এ সব নিয়ে ভাবছি না। আর এই ধরনের খবর আমি পড়ছি না। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। হাল্কা প্র্যাকটিস করছি। যাঁদের বিতর্ক করার করুক। আমি এই বিষয়গুলোতে নেই। আর আমি এখনও ভারতীয় দলের সদস্য। শেষ সিরিজে দলে ছিলাম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টিম এখনও ঘোষণা হয়নি। তাই নিয়ম অনুযায়ী, আমি টিম সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও কথা বলতে পারব না।
আর টিম নির্বাচনে নির্বাচকেরা তো থাকেনই, সেই সঙ্গে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিসিআই কর্তাদেরও মতামত থাকে। তাই এ সব নিয়ে কিছু কথা বলাটা ঠিক হবে না।
প্রশ্ন: আসলে রঞ্জি খেলছেন না বলেই হয়তো এত জল্পনা!
ঋদ্ধি: আমি আমার পরিবারের থেকে বহু দিন দূরে থেকেছি। ওদের সময় দেওয়ার জন্যই রঞ্জি খেলব না। অন্য কোনও কারণ নেই।
প্রশ্ন: কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর তো আপনাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছিল! সেখান থেকে ফের ঘুরে দাঁড়ান। তার পরেও কোপ পড়ল আপনার উপর!
ঋদ্ধি: আমি আবারও বলব, এখনও শ্রীলঙ্কার জন্য দল ঘোষণা হয়নি। তবে কানপুরের প্রথম ইনিংসের পর নিঃসন্দেহে চাপ ছিল। আমাকে কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু সেই চাপটা বোঝা যায়। তবে এই ইঙ্গিত আমাকে অনেক আগে থেকেই দেওয়াা হচ্ছে। কাঁধের চোট সারিয়ে যখন দলের দ্বিতীয় কিপার হিসেবে যোগ দিলাম, সেই সময় থেকেই ইঙ্গিত পাচ্ছিলাম।
প্রশ্ন: চোট সমস্যাটাই কী আপনার কেরিয়ারে ধাক্কা হল?
ঋদ্ধি: খেলায় চোট হতেই পারে। রোহিত শর্মাও তো বারবার চোট পাচ্ছেন। তবে এটাও ঠিক চোটের কারণে আমার বদলে যিনি খেলেছেন, তিনি নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। আমি দ্বিতীয় কিপার হয়ে গিয়েছি।
প্রশ্ন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর, রঞ্জি খেলে নিজেকে প্রমাণ করে ফের টিমে ঢুকেছিলেন। আপনি নিজেকে কী ভাবে প্রমাণ করার কথা ভাবছেন?
ঋদ্ধি: ৩৭ বছর বয়সে এসেও যদি নিজেকে প্রমাণ করতে হয়, তা হলে আর কী বলব! এই বয়সে এসে আমি প্রমাণ করার তাগিদ থেকে খেলা চালাতে রাজি নই। বরং নিজের ভালো লাগার জন্য খেলব। ক্রিকেটটা ভালোবাসি বলে খেলব, যত দিন ফিটনেস থাকবে।
প্রশ্ন: বাংলার ক্রিকেট মহলের দাবি, এই রাজ্যের ক্রিকেটারদের উপরই বারবার অবিচার হয়। আপনিও অবিচারেরই শিকার! অন্য় রাজ্যের ক্রিকেটার হলে, আপনার সঙ্গে এমনটা ঘটত না!
ঋদ্ধি: বাংলার ক্রিকেটারদের সঙ্গে অবিচারের কথা অনেকেই বলে থাকেন। কিছু কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে মনে হয়। সব ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা বলা যাবে না।
প্রশ্ন: সামনেই তো আইপিএলের নিলাম! বড় ইভেন্ট আসছে!
ঋদ্ধি: সেটাই। দেখা যাক কারা দলে নেয়। এ বার তো এপ্রিলে আইপিএল হবে। হাতে সময় আছে, নিজেকে তৈরি করার। এখনও প্র্যাকটিস চালাচ্ছি। তবে আপাতত হাল্কা অনুশীলন করছি।
For all the latest Sports News Click Here