করোনার জন্য আটকে গিয়েছে যতীন-ললিত জুটির ‘রিইউনিয়ন’
নয়ের দশকে বলিউড যে কয়েকজন হাতেগোনা সুরকার দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা ছিলেন সুরকার জুটি যতীন-ললিত। নয়ের দশকে বলিউড তখন একটু একটু করে সাবালক হচ্ছে শাহরুখ-সলমন-আমিরের মতো ‘ফ্রেশ’ মুখদের সামনে রেখে। ঠিক তখনই হিন্দি ছবির এই বিবর্তনের অধ্যায়ে আনকোরা নতুন, মনমাতানো সুর নিয়ে হাজির হলেন সুরকার জুটি যতীন-ললিত। ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’,’ দিলওয়ালে দুলহানিয়া যে যায়েঙ্গে’,’কুছ কুছ হোতা হ্যায়’,’কভি খুশি কভি গম’ ইত্যাদি সুপারহিট ছবির প্রতিটি গান দর্শক ও শ্রোতাদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। সৌজন্যে? যতীন-ললিত।
তবে সবাইকে অবাক করে ২০০৬ সালে আমির খান এবং কাজল অভিনীত ‘ফনাহ’ ছবিতে শেষবার সুর বেঁধে ভেঙে যায় এই বিখ্যাত জুটি। শোনা গেছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্যর ফলেই এই সিদ্ধান্ত।এরপর কেটে গেছে ১৪-১৫ বছর। আর শোনা যায়নি এই জুটির ম্যাজিক। তবে আশার কথা ফিরছে যতীন-ললিত জুটি! ভবিষ্যতে কোনও প্রোজেক্টে একসঙ্গে দেখাই যেতে পারে তাঁদের। চলতি বছরের গোড়ার দিকে টাইমস নাও-এর ডিজিট্যাল বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন যতীন।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘জুম’ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যতীন-পুত্র রাহুল জানিয়েছেন যে তাঁর স্পষ্ট মনে আছে সেই বিচ্ছেদের পর তাঁর বাবা স্পষ্টতই ভেঙে পড়েছিলেন। হতাশায় ভোগা শুরু করেছিলেন। রাহুল আরও জানিয়েছেন যে তিনি সেইসময়ে বেশ ছোটই ছিলেন। তাই সবকিছু তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব। তবে এটুকু স্পষ্ট মনে আছে যে বাবার মুখ চোখ দেখেই বোঝা যেত ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন উনি। কিছুতেই এই ‘বিচ্ছেদ’ তাঁর পক্ষে হজম হচ্ছিল না। ‘ প্রায়ই দেখতাম নিজের ঘরে সমস্ত আলো বন্ধ রেখে চুপচাপ বসে থাকতেন বাবা।’
অন্যদিকে, সেই সাক্ষাৎকারে যতীনের কথাতেও ফুটে বেরিয়েছিল তাঁদের জুটি ভেঙে যাওয়ার যন্ত্রনা। খোলাখুলি জানিয়েছিলেন ভীষণ সামান্য কারণে ভেঙে গেছিল তাঁদের এমন হিট জুটি। চাইলেই ঠিক হতে পারত, তবে সেসব আর করা হয়নি। তবে তাঁদের জুটির ‘কামব্যাক’-এর সমস্ত পরিকল্পনা করোনার কারণে ভেস্তে গেছিল।
উল্লেখ্য, ‘যতীন-পুত্র’ রাহুল যতীনের নতুন গান ‘বিন তেরে’ ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে নেটমাধ্যমে। ছেলের সেই নতুন গান রিলিজের কথা ইনস্টাগ্রামেও ঘোষণা করেছিলেন যতীন।
For all the latest entertainment News Click Here