কন্ডোম বিক্রি করে কটাক্ষের মুখে নুসরত, ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল নায়িকার
শুক্রবার মুক্তি পেল নুসরত ভারুচার ‘জনহিত মে জারি’। ঘোষণার পর থেকেই চর্চায় রয়েছে নুসরতের এই ছবি, আর লাগাতার কুরুচিকর আক্রমণের মুখেও পড়ছেন নায়িকা। কেন? এই ছবির কেন্দ্রে রয়েছে এক মহিলা কন্ডোম বিক্রেতা। ‘সোনু কে টিট্টু কি সুইটি’ খ্যাত অভিনেত্রীকে এই ছবিতে দেখা যাবে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কন্ডোম বিক্রি করতে। এই ধরণের একটা গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয় নিয়ে তৈরি ছবির অংশ হয়ে কেন লাগাতার ট্রোলড হতে হবে তাঁকে? প্রশ্ন নুসরতের।
ছবিতে কন্ডোম বিক্রি করে এমন এক কোম্পানির সেলস ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতে দেখা যাবে নুসরতকে। মনোকামনা ওরফে মনু কন্ডোম বিক্রি করে, এই কাজ করতে গিয়ে তাকে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। কারণ সেক্স সম্পর্কিত যেকোনও বিষয় আজও আমাদের সমাজে ট্যাবু। রাজ সান্ডিল্যর লেখা এবং জয় বাসান্তু সিং পরিচালিত ছবিতে সমাজের সেই মানসিকতাই উঠে এসেছে। ছবিতে নুসরতের বিপরীতে রয়েছেন অনুদ সিং ঢাকা। বিয়ের আগে নিজের পরিবারের কাছে মনোকামনার চাকরি নিয়ে আসল সত্যিটা গোপন করে অনুদ, আর যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত সেই থেকেই।
ট্রোলিং নিয়ে নুসরত এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘অনেক মানুষকেই এর আগে ট্রোল হতে দেখেছি, এই ছবির সঙ্গে তেমনটা ঘটবে না এটা আমি তেমনটা ভেবে ভুল করেছিলাম। এই ছবি তৈরির সময়, ছবির একটাও দৃশ্য বা সংলাপ এমন ছিল না যা দেখে আমার মনে হয়েছিল কেউ সেটাকে আপত্তিজনক বলে দাবি করবে। ছবিতে একটাও চুমুর দৃশ্য নেই, কোনও যৌন উদ্দীপক দৃশ্য নেই, এমন কোনও ঠাট্টা করা হয়নি যার মধ্যে অপর কোনও অর্থের ইঙ্গিত রয়েছে। ছবিতে কাউকে গালিগালাজ করা হয়নি। এটা একটা স্বচ্ছ, সুন্দর, পারিবারিক ছবি, এতো নেগেটিভ রি-অ্যাকশন আশা করিনি’।
নুসরত আরও যোগ করেন, ‘দুঃখের ব্যাপার হল মানুষজন ছবিটা না দেখেই নিজেদের জাজমেন্ট দিচ্ছে, শুধু ট্রেলার দেখে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, কোন সমাজে আমরা বাস করি! এখানে লোকেরা একটা সুযোগও দেয় না নিজের পক্ষ রাখবার, তার আগেই তোমার বিচার শুরু’।
নুসরত-অনুদ ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন টিনু আনন্দ, বিজয় রায়। মুক্তির পর ‘জনহিত মে জারি’ কতটা প্রভাব বিস্তার করবে দর্শক মনে সেটাই এখন দেখবার।
For all the latest entertainment News Click Here