কঠিন লড়াই! নড়ছে না চোখের পাতা, অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের তলব ঐন্দ্রিলার জন্য
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকে নিয়ে কার্যত জবাব দিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুধবার সকালে পরপর দুবার হার্ট অ্যাটাক আসে। তারপর থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সংক্রমণের জন্য কড়া কড়া ওষুধও চলছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শরীর পুরো অসাড়। মুখে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। চোখের পাতাও নড়ছে না অভিনেত্রীর। ইতিমধ্যেই শহরের এক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের স্নায়ুরোগ চিকিৎসকরা দেখে গিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কিন্তু আশার আলো ক্ষীণ।
‘গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এ একজন সুস্থ মানুষের গড় মাত্রা থাকা উচিত ১৫-এর মধ্যে অন্তত ১৪। এই স্কেলে কোনও রোগীর মান নির্ধারিত হয় চোখের নড়াচড়া, অঙ্গ সঞ্চালনা, মৌখিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে। আর ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রে যা অনেকটাই কম, মাত্র ৩, যা ভালো খবর নয়।
তবে হাল ছাড়েনি অভিনেত্রীর পরিবার। এখনও ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনার। সর্বক্ষণ পাশে রয়েছে তাঁর মা, দিদি এবং সব্যসাচী। বাবা তো নিজেই ডাক্তার। ঐন্দ্রিলার পছন্দের গান বাজছে ICU-তে। গল্প করছেন মেয়ের সঙ্গে ঐন্দ্রিলার মা। সব্যসাচী তো সেই থেকে হাসপাতালই ছাড়েননি। তবে উলটোদিক থেকে আর কোনও প্রতিক্রিয়া আসছে না।
বুধবার রাতে আচমকাই খবর রটে যে আর নেই ঐন্দ্রিলা। এরকম ভুয়ো খবর রটা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে বহু তারকার সঙ্গেই হয়েছে। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠরা তারপর কার্যত সকলকে অনুরোধ করেন এধরনের খবর না রটাতে। সব্যসাচী সকলের কাছে কাতর অনুরোধ করেন, ‘আরেকটু থাকতে দাও ওকে। এসব লেখার সময় অনেক পাবে।’
সব্যসাচীর সঙ্গে এতদিন ছিলেন সৌরভও হাসপাতালে। এখন অবশ্য ওয়ার্ক কমিটমেন্টের খাতিরে তাঁকে যেতে হয়েছে থাইল্যান্ডে ‘আবার বিবাহ অভিযান’ ছবির শ্যুটিংয়ে। সেখান থেকেই ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দেন। লেখেন, ‘বেঁচে আছে এখনও। মেরে ফেলো না ওকে। পায়ে পড়ছি।’
এর আগে দুবার ক্যানসারকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ২০১৫ সালে হয় বোনম্যারো ক্যানসার। পরপর কেমোথেরাপির পর ২০১৬ সালে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর ২০২১ সালে ফের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০২২-এর শুরুরদিকে লম্বা লড়াই সেরে সুস্থতার খবর দেন। এরপর ১ নভেম্বর আচমকা ব্রেন স্ট্রোক। কোমায় চলে যান। সেই থেকেই ভেন্টিলেশনে। এখনও লড়ে চলেছেন সব্যসাচীর ‘ফিনিক্স’।
For all the latest entertainment News Click Here