কঙ্গনাকে ‘সংযত’ থাকার বার্তা বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারির, ‘মুখের ভাষা ঠিক করুক!’
বিতর্ক ছেড়ে বের হতে একেবারেই রাজি নন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও ক্ষান্ত হন না। যার জেরে আইনি বিপাকেও পড়তে হয়েছে বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনকে। তবু কঙ্গনা আছেন কঙ্গনাতেই! এবার এই বলি-অভিনেত্রীকে ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিলেন গায়ক-অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। যাকে বলে একপ্রকার ‘শিষ্টাচার’-ই শেখালেন। কোনওরকম রাখঢাক না করে এই বিজেপি সাংসদ বলেন যে কারওর সমালোচনা করার সময় সেই ব্যক্তির প্রতি যেন শ্রদ্ধাশীল থাকেন কঙ্গনা।
বিনোদন দুনিয়া হোক কিংবা রাজনীতি, প্রায় সব ব্যাপারেই মন্তব্য করবেনই তিনি। এবং তাঁর সেইসব বক্তব্যের জেরে যে বিতর্ক তৈরি হয় মুহূর্তেই , সেকথা বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। একদিকে মুম্বইকে পর্যন্ত পাক-অধুষ্যিত কাশ্মীরের সঙ্গে যেমন তুলনা করেছেন, অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতেই নিজের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অভিনেত্রী। দিল্লি বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি আন্দোলন’ বলেও উল্লেখ করেন! শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশেও কেউ-মন্তব্য করতে ছাড়েননি কঙ্গনা।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে বলিপাড়ার এই বিতর্কিত অভিনেত্রীর সমন্ধে বলতে গিয়ে তারকা-বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘এমন মন্তব্য করা উচিৎ নয় যা কাউকে সোজাসুজি আঘাত দেয়। আর তাছাড়া শিল্পীদেরও একটা দায়িত্ব থাকে। তাহলে কঙ্গনা সরাসরি বলে দিক যে উনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন কি না।’ সামান্য থেমে মনোজ আরও বলেন, ‘সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্য-মৃত্যুর পর কঙ্গনা যেভাবে মন্তব্য করেছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন তা সমর্থন করি। মহারাষ্ট্র সরকারও সেই সময়ে ওঁর বিরুদ্ধে একটু বেশি কঠোরতা দেখিয়েছিলেন। তবে তা সত্বেও বলি, কঙ্গনা যা যা কথা বলেছেন মহার্স্টর সরকারের বিরুদ্ধে তা ওরকম করে বলাটা মোটেই ঠিক হয়নি। ওঁর আরও সংযত থাকা উচিৎ ছিল। তাছাড়া কাউকে কটুক্তি করা আমাদের দেশের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না।’
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশেও অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। সেই প্রসঙ্গেও অভিনেত্রীকে একহাত নিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। পরিষ্কারভাবে জানান যে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা ব্যক্তিকে সম্মান জানানো উচিৎ। এত গুরুত্বপূর্ণ পদে উনি বসে আছেন যখন, তখন অবশ্যই সম্মান করা প্রয়োজন। প্রতিবাদ করবে না কেন? কিন্তু তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রতিবাদ করা উচিৎ।মুখের ভাষার প্রতি আরও সংযম থাকা উচিৎ ওঁর। কখনও কখনও ওঁর কথায় সেই মর্যাদাটুকুর লেশমাত্র থাকে না।’
কঙ্গনা আপনি কি শুনছেন?
For all the latest entertainment News Click Here