‘কখনও মনে হতে দেননি আমি নবাগত’, সৃজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন সানাইয়ের?

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবির হাত ধরে টলিউডে পা রাখা। এখন অন্যতম জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর। তাঁর তৈরি করা ভালোবাসার মরশুমে ভেসে গিয়েছিল সবাই। HT বাংলার সঙ্গে বিশেষ আড্ডা জমেছিল সেই সপ্তক সানাই দাসের। যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে সবাই সানাই বলেই চেনেন।

কেমন আছেন বলুন?

সানাই: বেশ ভালো আছি। সুন্দর ফুরফুর ওয়েদার। আমার পছন্দের মরশুম এটা। বর্ষা।

বাহ, তাহলে ইন্ডাস্ট্রিতে কত বছর হল?

সানাই: গত বছর ডেবিউ করেছি। গত বছর জুনে ছবিটা মুক্তি পায়, আর এপ্রিলে অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল। ফলে ওই হ্যাঁ, এক বছর।

সুযোগটা এল কীভাবে?

সানাই: অনিন্দ্যর (অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, অভিনেতা) সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের আলাপ। এই ধরুন ২০১৩ থেকে আমাদের আলাপ। উনি তখন তারা মিউজিকে ‘টেক এ ব্রেক’ নামক শোয়ের সঞ্চালনা করতেন। সেখানে আর কী। তারপর উনিই আমায় ২০১৮ সালে বলেন যে ‘চায়ে পানি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল আসছে, সেখানে আমি আমার কোনও গান শোনাব কিনা। আমি রাজি হই। তার আগে চ্যানেলের প্রযোজক মিকিদা অর্থাৎ দেবাশিস সেনশর্মার সঙ্গে দেখা করি, তাঁকে গান শোনাই আমার। উনি আমায় তখন বলেন চ্যানেল লঞ্চের দিন যেন আমি গান গাই। আমি সেখানে ‘সিন্ড্রেলা মন’ গাই। তারপর মিকিদা সেটা রেকর্ড করে সৃজিতদাকে (সৃজিত মুখোপাধ্যায়) পাঠান। ওঁরা দুজন বন্ধু হন। গান পাঠানোর পর পরই সৃজিতদা যোগাযোগ করার কথা বলেন। আমায় এসভিএফের অফিসে ডাকেন। তারপর…

বলুন

সানাই: আমি সেখানে গেলে আমায় বলেন একটা গান দিয়ে তো হবে না। বাকি গানগুলোর কী হবে? আমি তখন আমার তৈরি করা ১০টা গান পাঠাই। এরপর সৃজিত দা দুটো ছবির জন্য সেই গানগুলোকে নিয়ে নেন। ৫ টা গান ‘X=প্রেম’-এর জন্য, আর বাকি ৫টা ‘অতি উত্তম’-এর জন্য।

বরাবরই গানের জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?

সানাই: হ্যাঁ, গান বাজনা তো করতামই। তবে এর আগে আমি একটি চাকরি করতাম। কিন্তু যখন ঠিক করলাম যে আমি গানই বানাতে চাই, এই দুনিয়ার সঙ্গেই জুড়ে থাকতে চাই তখন চাকরি ছেড়ে বেঁচে থাকার জন্য গানকে বেছে নিলাম।

<p>'এই গানই আমায় আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে', ভালোবাসার মরশুমে অকপটে কোন গল্প বললেন সানাই?</p>

‘এই গানই আমায় আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে’, ভালোবাসার মরশুমে অকপটে কোন গল্প বললেন সানাই?

গান কবে থেকে শিখছেন?

সানাই: আমার বাবা-মা দুজনেই গায়ক। ক্লাস ৬ পর্যন্ত মায়ের কাছেই গান শিখেছি। এরপর ভবানীপুর গীতবিতানে ভর্তি হই। তারপর সেখান থেকে পঞ্চম বর্ষের পরীক্ষা দিই। তবে আমার সঙ্গীত জীবনের দ্রোণাচার্য কিন্তু পৃথিবী ব্যান্ডের কৌশিকদা (কৌশিক চক্রবর্তী)। উনি আমায় হাতে ধরে অনেক কিছু শিখেছেন, ওঁর থেকেই ভোকাল টেকনিক থেকে হারমোনি সবটাই শিখেছি।

অবসরে কী করতে ভালো লাগে?

সানাই: আমি সিনেমা দেখতে ভীষণ ভালোবাসি। মূলত সায়েন্স ফিকশন, ডিটেকটিভ ফিল্ম পছন্দ করি। এছাড়া ঘুড়ি ওড়াতে খুব ভালোবাসি।

প্রথম ছবির সব কটা গান যে এতটা সাড়া পাবেন ভেবেছিলেন?

সানাই: আমি আর ধ্রুবদা (ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী, লিরিসিস্ট) দুজন যখন গান বানাই তখন এত কিছু ভাবি না। দুজনে গান বানাতে ভালোবাসি তাই বানাই। গান তৈরির পর আউটপুট শুনে যে তৃপ্তি পেতাম সেটাই আমাদের কাছে সব থেকে বড় পাওয়া। পরে গান নিজেই নিজের রাস্তা খুঁজে নিয়েছে।

প্রথম ছবিতেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে কাজের সুযোগ। এই অভিজ্ঞতাটা কেমন যদি বলেন।

সানাই: সৃজিতদা ভীষণ ফ্লেক্সিবল। আমি যে ডেবিউট্যান্ট এটা কখনই আমায় বুঝতে দেননি। মিউজিক্যালি আমি যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবেতে সমর্থন করেছেন। আমিই সিদ্ধান্ত নিই যে অরিজিৎদা আর শ্রেয়া ঘোষালকে দিয়ে গাওয়াব, তবে আমি যে দুটো গেয়েছি ওই দুটোর সিদ্ধান্ত সৃজিতদার নেওয়া ছিল। এছাড়া শ্রীকান্ত মোহতাকে গিয়েও প্রথমে গান শুনিয়ে এসেছিলাম। উনিও প্রশংসা করেছিলেন।

<p>সৃজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন সানাইয়ের?</p>

সৃজিতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন সানাইয়ের?

আর অরিজিৎ-শ্রেয়া?

সানাই: তখন তো কোভিড পিরিয়ড, তাই ওঁরা রেকর্ড করে পাঠাতেন। শ্রেয়াদি মুম্বই থেকে রেকর্ড করে পাঠাতেন, অরিজিৎদা তাঁর বাড়ি থেকে। আমি শুনে যেখানে রিটেক করে পাঠাতে বলতাম সঙ্গে সঙ্গে সেটা করে দিতেন। এত ভালো মানুষ দুজনে যে কী বলব। আমি যে ডেবিউট্যান্ট, নতুন এই ফিল্ডে বুঝতেই দেননি। তাঁদের কাছে আমি কেবল মিউজিক ডিরেক্টর ছিলাম। এটাই বোধহয় বড় শিল্পী হওয়ার লক্ষণ।

নিজের পছন্দের গান কোনটা?

সানাই: ‘ভালোবাসার মরশুম’। এটা আমায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। ‘সিন্ড্রেলা মন’, ‘রাইকিশোরী’ এই গানগুলো আমার অনেক আগে তৈরি করা গান। ‘রাইকিশোরী’ ২০১১ সালে বানানো, ‘বায়নাবিলাসী’ আমার প্রিওয়েডিং গান, ২০১৩ -এ ‘সিন্ড্রেলা মন’ বানিয়েছিলাম। তবে সিচুয়েশন পেয়ে, গানের ব্রিফ পেয়ে বানানো প্রথম গান ‘ভালোবাসার মরশুম’। এটা বানিয়ে বুঝেছিলাম আমি এভাবে ব্রিফ পেয়েও গান লিখতে পারি। হবে আমার দ্বারা।

আগামীতে কী কী কাজ আসছে?

সানাই: এই বছর সব ঠিক থাকলে ৩টি কাজ আসছে। রাজদীপ ঘোষের ‘বনবিবি’-তে কাজ করলাম। তবে আমি এখানে একা মিউজিক ডিরেক্টর নই। আমার চারটে গান আছে। এছাড়া নিহাল দত্তের ‘লক্ষ্মী দারোগা’ আসছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’ আমার আগামী ড্রিম প্রজেক্ট। সেখানে আমার গানে মানালি ঠাকুর, রূপঙ্করদা (রূপঙ্কর বাগচী), উপলদা (উপল চক্রবর্তী), পাপন, অর্ণব দা গান গেয়েছেন। আমার নিজের গানও আছে। এছাড়া পুজোয় আমার সুরে বাবুল সুপ্রিয়র একটি গান মুক্তি পাবে।

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.