‘ওভার অ্যাক্টিং’, পূজাকে ভালোবেসে করলার রস খেল অঙ্কুশ, ভাঁড়ামিতে ক্লান্ত দর্শক
গত সিজনের মতো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর চলতি সিজনেও সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অঙ্কুশ হাডরাকে। এইবার অবশ্য তাঁর পাশে দেখা নেই বিক্রমের। সঞ্চালক হিসাবে দর্শকদের নিখাদ বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেন অঙ্কুশ (Ankush Hazra)। তাই কখনও বিচারক মৌনি রায়ের সঙ্গে আবার কখনও সুন্দরী প্রতিযোগির সঙ্গে ফ্লার্ট করতে দেখা যায় অঙ্কুশকে। তবে প্রেমে গদগদ অঙ্কুশ মাঝেমধ্যেই ‘ওভার অ্যাক্টিং’ করে ফেলে এমনটাই মত দর্শকদের।
চলতি সিজনে অঙ্কুশের অ্যাঙ্কারিং নিয়ে খুশি নন অনেকেই। অনেকেই বলছেন, ‘অঙ্কুশ বড্ড বেশি ভাঁড়ামি করছে আজকাল’। রিয়ালিটি শো-এর সাম্প্রতিক এপিসোডে অতিথি বিচারক হিসাবে হাজির হয়েছিলেন পূজা, গরহাজির ছিলেন মৌনি। ওমনি পূজাকে ইমপ্রেস করতে আদা-জল খেয়ে লেগে পড়েন অঙ্কুশ। পূজার জন্য সবকিছু করতে এক পায়ে খাড়া নায়ক। এক সময়ে এক খুদে প্রতিযোগী জানায়, তার মা তাকে রোজ করলার রস খাওয়ায়। একথা শুনেই পূজা বলে বসেন, তাঁকে ইমপ্রেস করতে হলে অঙ্কুশকেও খেতে হবে এক গ্লাস করলার তাজা জুস।
ভালোবাসার টানে অসাধ্য সাধনে লেগে পড়েন অঙ্কুশ। এবং প্রোডাকশনের তরফে করলার রস ভর্তি গ্লাস হাজির হতেই সেটা নিজের হাতে করে অঙ্কুশকে খাইয়ে দেন পূজা। এক চুমুক খেয়েই আজব মুখভঙ্গি করতে থাকেন অঙ্কুশ তবুও ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’। পূজার মন জিততে ডগডগ করে করলার রস খেয়ে নেন অভিনেতা। অঙ্কুশের কীর্তি দেখে একজন লেখেন, ‘ডান্স শো না ফাজলামি মারার জায়গা ধরতে পারবেন না’। অন্য এক নেটিজেন লেখেন, ‘ফালতু ওভার অ্যাক্টিং করছে’। আরেক নেটিজেন আবার শুভশ্রীর হাসিকে ব্যাঙ্গ করে লেখেন, ‘বাব্বা! ওর গালে তো মশার চোদ্দো গুষ্টি ঢুকে পড়বে’।
ভিডিয়োর শেষে শুভশ্রীকে বলতে শোনা গেল, ‘১৩ বছরে ঐন্দ্রিলার জন্য এটা করেনি অঙ্কুশ। একটা আলিঙ্গন ওকে করা যেতেই পারে পূজা’। টলিউডের ‘ভিলেন’ অবশ্য সে-সবের তোয়াক্কা করেনি। নিজেকে ছুটে গিয়ে পিছন থেকে পূজাকে জাপটে ধরেন।
চলতিবার ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে মহাগুরু হিসাবে উপস্থিত রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিচারক হিসাবে দেখা মিলছে তিন সুন্দরী-শ্রাবন্তী, শুভশ্রী এবং মৌনির। যদিও শুধু অঙ্কুশের সঞ্চালনা নয়, ডান্স রিয়ালিটি শো-এর বিচারক হিসাবে শুভশ্রী-শ্রাবন্তীর যোগ্যতাও প্রশ্নের মুখে। মৌনি বাদে অপর দুই বিচারককেই মনে ধরেনি দর্শকদের।
For all the latest entertainment News Click Here