‘ওই রাতে ইচ্ছে করছিল মরে যাই, সন্তানকেও মেরে ফেলি’, বিস্ফোরক শোভন বান্ধবী বৈশাখী
ছাদ আলাদা হয়েছিল আগেই। গত বছর এপ্রিলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজিৎ মণ্ডলের বিচ্ছেদে আইনি সিলমোহর দেয় আলিপুর আদালত। যদিও তার অনেক আগে থেকেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংসার পেতেছেন বৈশাখী। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র যদিও এখনও আইনত রত্না চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েক বছর কম আলোচনা হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। ডিভোর্স পাকা হওয়ার ঠিক আগে স্বামী মনোজিৎকে নিয়ে বেশকিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বৈশাখী। সম্প্রতি নেটপাড়ায় ভাইরাল শোভন বান্ধবীর সেই বক্তব্য। আরও পড়ুন-‘আমি ভাবলাম শোভন পাগল হয়ে গেছে…’, দিদির সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে অকপট বৈশাখী
এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁর স্বামী (বর্তমানে প্রাক্তন) মনোজিৎ। তিনি বলেন, ‘এই মহিলা যদি বিয়ে করার মেটিরিয়াল হত, তাহলে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওদের বিয়ে দিতাম। সেই বাড়ির চাদরটাও আমার কিনে পাঠিয়ে দেওয়া, সেই চাদরে ওই মহিলা শুচ্ছেন, আমার রাতপোশাক পরে রাত কাটাচ্ছেন ওখানে। আমার ওই বাড়িতে আমার বাবা-মা সংসার করেছেন, আমি নিজে ৯ বছর সংসার করেছি। সেখানে এই মহিলাকে নিয়ে তোমার ঢোকা চলবে না’। বৈশাখী দেবী আরও বলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যখন নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। বঙ্গভূমি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোভন-বান্ধবী বলেন, ‘সেই রাত্তিরে এমনও মনে হয়েছে আমি নিজেও মরে যাই, সন্তানকেও মেরে ফেলি’।
নিজের বাড়িতেই ফিরে যাওয়ার সাহস হয়নি তাঁর। বলেন, ‘ওই বাড়িতে পা দিলে দমবন্ধ লাগবে। এখানে আমার ঘরগুলোতে অন্য কেউ শুয়েছে, সারারাত কাটিয়েছে, এটা আমি মেনে নিতে পারব না। লোকে ভাবে আমি তিন বছর আমি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি বলে আমি ওর (মনোজিৎ) খেয়াল রাখি না। কিন্তু যখন উনি ইউরিন করতে পারতেন না, আমি ইউরিন পট ধরেছে। বমি করেছে, আমি পরিষ্কার করেছি’। স্বামীর পরকীয়ার খবর সকলেই তাঁকে দিত, তাতে খারাপ লাগত বলে জানিয়েছিলেন বৈশাখী। তিনি আরও বলেন, কঠিন সময়ে একমাত্র শোভন চট্টোপাধ্যায়ই তাঁর পাশে ছিল। ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সাহস জুগিয়েছিলেন। কাগজে সই করে নয়, ওই বাড়ি থেকে যেদিন বেরিয়েছিলেন সেইদিনই মনে মনে মনোজিৎকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছিলেন জানান বৈশাখী।
নিজের দাম্পত্য জীবনের চাপানউতোরের জেরে অনেক কষ্ট পেয়েছেন বলে জানান বৈশাখী। জানান, ‘একটা সময় জোর কাঁদতাম, এত কাঁদতাম যে বালিশ ভিজে যেত। ভাবতাম, যে আমি কেন ওকে সুখী করতে পারলাম না’। তবে ৯ বছরের সেই দাম্পত্য জীবন এখন অতীত। মেয়ে মেহুলকে নিয়ে শোভনের সঙ্গে সংসার করছেন বৈশাখী। ডিভোর্সের পর মেয়ের সম্পূর্ণ কাস্টডি পেয়েছেন বৈশাখী।
For all the latest entertainment News Click Here