‘ওই ঠিকানা চিরন্তন’, জন্মদিনের পোস্টে হঠাৎ অনন্তলোকের কথা চঞ্চলের, কী হল
জন্মদিনের পর ফেসবুকে পোস্ট লিখলেন চঞ্চল চৌধুরী। গত ১ জুন, বৃহস্পতিবার জন্মদিন ছিল তাঁর। জন্মদিনের রেশ কাটার বেশ কয়েকটি দিন পরই তিনি ভক্তদের জন্য এই বিশেষ পোস্টটি দিলেন। শুধু ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন যে এমনটা নয়, করলেন স্মৃতিচারণও।
চঞ্চল চৌধুরী এদিন একটি কবিতা লিখে সকলকে ধন্যবাদ জানান। তাঁর সেই কবিতায় উঠে আসে রেডিও থেকে ক্যাসেট প্লেয়ার, সিনেমা, ওটিটি, ফোন, সহ অনেক কিছুই। যা যা জিনিস অভিনেতাকে জীবন্ত অনুভূত করায়, যা যা তাঁকে বোঝায় যে তিনি বেঁচে আছেন অনেক কিছুর সাক্ষী হয়ে সেগুলোর কথাই তিনি তাঁর কবিতায় তুলে ধরেন।
এরপর তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘বয়স এবং যোগ্যতার তুলনায় আমার অর্জন হয়েছে অনেক বেশি। আমি আমার ইচ্ছা মতো চলতে পেরেছি, কাজ করতে পেরেছি, বাঁচতে পেরেছি যাঁদের কারণে তাঁদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমার জন্মদিনে হাজারো মানুষের শুভ কামনা আর ভালোবাসায় সিক্ত আমি। এ আমার জন্ম জন্মান্তরের প্রাপ্তি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা।’
মনে করেন তাঁর বাবার কথাও। প্রসঙ্গত কিছু মাস আগেই প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতার বাবা। এদিন তিনি বাবার কথা মনে করে লেখেন, ‘আমার জন্মদাতা পিতা, কয়েক মাস আগেও আমার সাথেই ছিল। তাঁর চলে যাওয়া আমাকে আরও নিশ্চিত করে বলে দেয়, ভালোবাসার মানুষগুলো আবারও মিলবে একসঙ্গে, অন্যলোকে। কারন ওই ঠিকানাটা চিরন্তন। যেখানে আমার জন্মদাতা পিতা অপেক্ষা করছে তাঁর আপনজনদের জন্য।’
চঞ্চল চৌধুরী তাঁর এই পোস্টে দুটো ছবি যোগ করেন। প্রথমত, তাঁর এবং তাঁর বাবার। দুজনে পাশাপাশি বসে হাসছেন। অন্যদিকে আরও একটি ছবিতে আছেন তিনি এবং তাঁর পুত্র শুদ্ধ। এই ছবি দুটোর বিষয় তিনি লেখেন, ‘বাবার সঙ্গে আমি, সাংবাদিক অভি মহিউদ্দিন ফটোগ্রাফার নিয়ে আমার বাসায় এসে তুলে দিয়েছিল। আর দ্বিতীয় ছবিটা শুদ্ধর সঙ্গে আমি, আমার জন্মদিনে খুশির বাসায়, সৌম্য তুলেছিল।’
প্রসঙ্গত চঞ্চল চৌধুরী বর্তমানে কলকাতায় আছেন। তিনি টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডসের ২০তম বছরে উপস্থিত ছিলেন।
For all the latest entertainment News Click Here