এ লিগের ফাইনালে ধামাকা মোহনবাগানে যোগ দিতে চলা কামিংসের, করলেন হ্যাটট্রিক
খুব শীঘ্রই হয়তো মোহনবাগান জেসন কামিংসের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দেবে। তবে তার আগেই এ লিগের গ্র্যান্ড ফাইনালে ধামাকা করলেন কামিংস। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেসন কামিংস নিজে হ্যাটট্রিক করলেন। তাঁর দল সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করল মেলবোর্ন সিটি এফসি-কে।
ম্যাচের শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজেই ছিলেন কামিংস। ২০ মিনিটেই প্রথম গোল করেন তিনি। তার পরে খেলা যত গড়িয়েছে, কামিংস আরও বেশি ঝড়ের গতি বাড়িয়েছেন। এ দিনের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি এক মরশুমে কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার নজির গড়লেন কামিংস। তিনি মোট ২০টি গোল করেছেন। আগের নজির ছিল ২০১২-১৩ মরশুমে ড্যানিয়েল ম্যাকব্রিনের (১৯)। এ ছাড়াও একটি গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট করেছেন কামিংস। মোদ্দা কথা, সবুজ-মেরুনে যোগ দেওয়ার আগেই আগুনে ফর্মে জেসন কামিংস।
আরও পড়ুন: তুলসী ঝড়ে ছন্নছাড়া শ্রীভূমি, প্রথম মহিলা IFA Shield চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
‘এ’ লিগের ক্লাব থেকে সরাসরি মোহনবাগানে আসছেন জেসন কামিংস। সেই খবর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমেও চলছে চর্চা। শনিবার তাঁর প্রথম গোলের পরে ধারাভাষ্যকাররাও কামিংসের সম্ভাব্য ট্রান্সফার সম্পর্কে বলেন, হয়তো ভারতেই খেলতে যাবেন কামিংস। তবে শেষ ম্যাচের আগে কামিংসের তরফে কিছুই জানানো হচ্ছিল না। কিন্তু আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাপারটা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অন-লাইন প্রতারণার শিকার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা উধাও ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রতর
জেসন কামিংসের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ‘এ লিগ’-এর ফাইনালে মেলবোর্ন সিটির বিরুদ্ধে ৬-১ জেতে মেরিনার্স। বিরতির সময়ে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স এগিয়েছিল ৩-১ গোলে। তার মধ্যে প্রথমটি গোলটি করেছিলেন কামিংস। দ্বিতীয়ার্ধে কামিংসের জাদুতে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স ম্যাচ পুরো মেলবোর্ন সিটি এফসির হাতের বাইরে নিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ৬৫ এবং ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আরও দু’টি গোল করেন জেসন কামিংস।
ম্যাচের পর কামিংস বলেছেন, ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না মাঠে কী হয়ে গেল। আমরা দারুণ দল। ৬-১ জেতায় মোটেই অবাক নই। যে দল আমাদের হাতে ছিল, যে একতা গোটা মরসুমে দেখিয়েছি তা অবিশ্বাস্য। দারুণ একটা সময় কাটান কাটালাম। দেড় বছর এই ক্লাবে কাটালাম। কোচ এসে আমার জীবনটাই বদলে দিয়েছেন। আমার ফুটবলজীবন আচমকাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। এখানে এসে জীবনটাই বদলে গেল। এই অনুভূতি বর্ণনা করার আর কোনও ভাষা নেই।’
For all the latest Sports News Click Here