‘এসব শুনলে কান্না পায়’, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাঙায় মুখ খুললেন কবীর সুমন
কিংবদন্তি শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের লেক গার্ডেনসের সেই বাড়ি। যে বাড়ির সঙ্গে অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল সঙ্গীতশিল্পীর হাজারো স্মৃতি। ‘তবে তাতে কী!’ এমনই যেন ভাব! ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সেই বাড়ি। সেই বাড়িতেই হাত পড়েছে প্রমোটারের।
জানা যাচ্ছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কন্যা সৌমির সম্মতিতেই নাকি এমনটা ঘটেছে। তবে শিল্পীর মৃত্যুর মাত্র ১৬ মাস কাটতে না কাটতেই এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগরে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন বর্ষীয়ান শিল্পী কবীর সুমন।
আরও পড়ুন-বন্ধ ঘরে ‘আজকাল তেরে-মেরে প্যায়ারকে চর্চে’ গানে জমিয়ে নাচলেন শ্রীলেখা, সঙ্গীটি কে?
আরও পড়ুন-‘এটা কেমন পাসুরি রে ভাই!’ অরিজিতের ‘পাসুরি’ শুনে কটাক্ষ শোয়েবের
টিভি৯ বাংলাকে কবীর সুমন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাঙা প্রসঙ্গে বলেন, কী বলি বলুন তো! আমি বুড়ো মানুষ, এসব শুনলে কান্না পায়। আমার কিছুই বলার নেই।’ এরপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে কবীর সুমন বলেন, মারা যাওয়ার আগে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা মনে পড়ল ওঁদের। সন্ধ্যা দি নেননি বলে দেশদ্রোহীর তকমাও শুনতে হয়েছে। আরে ওঁর কড়ে আঙুলেরও যোগ্য নন, এমন কিছুজনকে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ওকে পদ্মশ্রী। এই অপমান সাংঘাতিক… তাই এটাই তো হওয়ার ছিল।’
ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁকে গুরু বলতেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। বাড়ির ধ্বংস স্তুপের মধ্যে সেই ছবিও দেখা গিয়েছে। যেটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান কৌশিকী চক্রবর্তী। বাড়িভাঙা নিয়ে পরিবারের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অনুরাগীদের প্রশ্ন, ‘সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কি শুধু তাঁর পরিবারের? অনুরাগীদের আবেগ নিয়ে পরিবারের কি কোনও দায়বদ্ধতা নেই!’
প্রসঙ্গত, লেক গার্ডেন্সের ওই বাড়িতেই কবি শ্যামল গুপ্তের সঙ্গে ঘরকন্যা করতেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ওই বাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে বহু জনপ্রিয় গানের। তবে শুধু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নন, এর আগে বহু কিংবদন্তি বাড়ি যেগুলি ‘হেরিটেজ’ তকমা পাওয়ার কথা, সেগুলি ভাঙা পড়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বহুতল। মাটিতে মিশে গিয়েছে কত স্মৃতি।
For all the latest entertainment News Click Here